দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। সর্বত্রই চলছে ঈদ উৎসবের প্রস্তুতি। ঈদের আগে আজ বৃহস্পতিবার অফিস করেই সরকারি ছুটি শুরু হচ্ছে। প্রিয়জনদের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে আজ বিকাল থেকেই নাড়ির টানে ছুটবে মানুষ। ইতোমধ্যে রাজধানী ফাঁকা হতে শুরু করেছে। ঈদের কেনাকাটা নিয়ে রাজধানীর মার্কেট বিপণিবিতানে রীতিমতো উপচেপড়া ভিড়। দেশের সড়ক-মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে নানা প্রস্তুতি নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঈদের ছুটি ঘিরে ফাঁকা রাজধানীর নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ঈদ উপলক্ষে কারাবন্দিদের জন্য থাকছে বিশেষ আয়োজন।
এদিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার এবার অন্যরকম উৎসবের পরিকল্পনা নিয়েছে। এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই প্রথম ঈদ। সরকার তাই এবারের উৎসবে দেশবাসীকে চমক দিতে চায়। এরই অংশ হিসেবে চাঁদরাত সরকারিভাবে পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সুলতানি ও ব্রিটিশ আমলে ঈদ মিছিলের আয়োজন করা হতো। এ দুই আমলের মতো এবার ঈদের দিন ঢাকায় আনন্দ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া বাণিজ্যমেলার মাঠে দিনব্যাপী ঈদ আনন্দ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। অবশ্য জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের পরিবারে ঈদের আনন্দ নেই। পরিবারগুলোয় প্রথমবারের মতো স্বজনহারার বিষাদ নিয়ে আসছে ঈদ উৎসব।
ঈদের প্রধান জামাত হবে জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে। সেখানে সব ঈদ-জামাত অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। এবারই প্রথম চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রের পাশের মাঠে (বাণিজ্যমেলার পুরাতন মাঠ) ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। নামাজের পর এ মাঠে দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হবে। আর জামাতের পর অনুষ্ঠিত হবে ঈদ আনন্দ মিছিল। মিছিলটি জামাতের স্থান থেকে শুরু হয়ে সংসদ ভবনের সামনে এসে শেষ হবে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, সুলতানি আমল এবং পরবর্তী ব্রিটিশ আমলেও ঈদ মিছিলের আয়োজন করা হতো। এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ঐতিহ্যবাহী এই সংস্কৃতিকে নতুন করে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন বাংলাদেশে নতুনভাবে আমাদের ঈদ আনন্দ ভাগ করে নেব। ঈদের দিন এবং এর পরদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মেলা চলবে। দুই দিনব্যাপী আয়োজিত ঈদ মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।