চলতি (২০২৪-২৫) অর্থ বছরের প্রথম আট মাসেই (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ৩৫০ কোটি (৩.৫ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে। এই অঙ্ক সৌদি আরবের প্রায় দ্বিগুণ। আর আরব আমিরাতের চেয়ে ২৩ শতাংশ বেশি।
গত অর্থ বছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে সৌদি আরব থেকে ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। আরব আমিরাত থেকে এসেছিল ২ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার।
চলতি অর্থ বছরের এই আট মাসে গত অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স প্রবাহের দেশভিত্তিক হালনাগাদ তথ্য তথ্য মতে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ৩৪০ কোটি (৩.৪০ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছে, যা মোট রেমিট্যান্সের ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। গত অর্থ বছরের একই সময়ে এসেছিল ১ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার।
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর হঠাৎ করেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিটেন্স প্রবাহের চিত্র পাল্টে যায়। প্রতি মাসেই বেশি প্রবাসী আয় আসছে দেশটি থেকে।
প্রবাসী আয়সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, নতুন বছরের দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা মোট ২৫৩ কোটি (২.৫৩ বিলিয়ন) দেশে পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৯ কোটি ১৩ লাখ ডলার এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ কোটি ৪৯ লাখ ডলার এসেছে আরব আমিরাত থেকে। সৌদি আরব থেকে এসেছে ৩২ কোটি ডলার। যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে ৩২ কোটি ৮৮ লাখ ডলার।
আগের মাস জানুয়ারিতে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ (২.১৮ বিলিয়ন) পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪০ কোটি ৭৫ লাখ ডলার এসেছিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ কোটি ৩৪ লাখ ডলার আসে যুক্তরাজ্য থেকে। সৌদি আরব থেকে এসেছিল ২৭ কোটি ডলার। আরব আমিরাত থেকে আসে ২৪ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।
গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২৬৪ কোটি (২.৬৪ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স আসে দেশে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে ৫৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। আরব আমিরাত থেকে আসে ৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। সৌদি আরব থেকে আসে ২৯ কোটি ডলার। যুক্তরাজ্য থেকে আসে ২৪ কোটি ৮১ লাখ ডলার।