সারাদিনে এই হাতের উপরেই যত ‘অত্যাচার’। আবার অবিচারও। কিভাবে? যতবার বাইরে যাওয়া আসা- ততবার সাবান পানির ব্যবহার। যতবার খাবার ধরা তার আগে ধোয়া। যেকোনও কারণে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার খাতিরেও সবার আগে দরকার হাতদুটোকে ভালো মত জীবাণুমুক্ত করা। আবার একে সুন্দরও দেখানো চাই। হোক আংটি, ঘড়ি বা মেহেদি, হোক আরেকজনের হাতে হাত ধরার জন্য- হাত সুন্দর না হলে কী চলে? তাই বলে রোজ রোজ মেনিকিউর করাও তো হয়ে ওঠে না ব্যস্ত সময়ে। বরং ছোট কিছু টোটকা জানা থাকলে হাতের সৌন্দর্য থাকতে পারে অক্ষুণ্ণ। আসুন জেনে নেই সেই পন্থাগুলো।
১। সবার আগে সূর্য থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য বাইরে বের হওয়ার আগে হাতে সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। সম্ভব হলে ফুল স্লিভ জামা পরতে হবে।
২। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে হাত সাবান বা বডিওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
৩। হাত পরিষ্কার করেই ময়শ্চারাইজার লোশন লাগিয়ে নিলে ত্বক আর শুষ্ক হবে না। অনেকে গরমে এই ধাপটা এড়িয়ে যেতে চান। ফলে ত্বক অনেক রুক্ষ ও অনুজ্জ্বল হয়ে যায়। বাজারে এখন গরম আবহাওয়ার ব্যবহার উপযোগী ভালো মানের বডি লোশন পাওয়া যায়।
৪। সপ্তাহে অন্তত দুইদিন হাতের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। এজন্য গামলায় কুসুম গরম পানিতে ইপসম লবণ বা সামুদ্রিক লবণ মেশাতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে শ্যাম্পু বা বডিওয়াশ ও লেবুর রস। এই পানিতে হাত ভিজিয়ে রাখতে হবে ৩০ মিনিট। এরপর হাত এক্সফোলিয়েট করতে হবে।

হাত পরিষ্কার করেই ময়শ্চারাইজার লোশন লাগিয়ে নিলে ত্বক আর শুষ্ক হবে না
৫। হাতের উজ্জ্বলতা নিশ্চিত করতে এক্সফোলিয়েশনের কোন বিকল্প নেই। এজন্য কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করতে পারেন। আবার বডি স্ক্রাবও ব্যবহার করা যায়। বাজারে ভালো ব্র্যান্ডের বডি স্ক্রাব পাওয়া যায়। চাইলে হাতের কাছে থাকা অল্প কিছু উপাদান দিয়েও এটি ঘরেই বানানো যায়। এজন্য দরকার ১ কাপ নারিকেল তেল বা জলপাইয়ের তেল ও ২ কাপ চিনি বা লবণ। চিনি বা লবণের পরিবর্তে কফিও ব্যবহার করা যাবে। ব্যবহারের আগে এগুলো ব্লেন্ডারে খুব মিহি গুঁড়া করে নিতে হবে। বডি স্ক্রাব হাতে পায়ে লাগিয়ে ৫ মিনিট ভালো করে ম্যাসাজ করতে হবে।
৬। বিশেষ যত্নের শেষ ধাপে হাতে ব্রাইটেনিং মাস্ক লাগাতে হবে। স্ক্রাবের মত এটাও ঘরে বানিয়ে নিতে পারেন। দরকার হবে ৩ টেবিলচামচ মধু, ৬ টেবিলচামচ টক দই ও ২ টেবিলচামচ মসুরের ডাল এক সঙ্গে মিক্স করে হাতে পায়ে লাগিয়ে অপেক্ষা করতে হবে অন্তত ১৫ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলে বডি লোশন লাগিয়ে নিতে হবে।