Home টপ পোস্ট ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় নিষিদ্ধ ফেসবুক

১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় নিষিদ্ধ ফেসবুক

মোহাম্মদ রবিউল্লাহ
১৩৪ views

১৬ বছরের নিচে শিশুদের জন্য সামাজিক মাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। সম্প্রতি দেশটি এমন যুগান্তকারী একটি আইন পাস হয়েছে। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া এতো কঠোর আইন পাস করা হয়েছে।

শিশু মনে সোশ্যাল মিডিয়ার কুপ্রভাব যাতে না পড়ে সে জন্যই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আইন বিশ্বে নজির সৃষ্টি করবে বলেই মত প্রযুক্তি ও সমাজ বিশেষজ্ঞদের।

নতুন এই আইন অনুযায়ী, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো প্রধান সামাজিক মাধ্যমগুলো ১৬ বছরের নিচে শিশুদের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে না। খোলার চেষ্টা করলেই বাধা দেওয়া হবে। সামাজিক মাধ্যম সংস্থাগুলোকে বয়স যাচাইকরণে কঠোর ব্যবস্থা আনতে হবে, যাতে কম বয়সী শিশুদের অ্যাক্সেস সম্পূর্ণভাবে রোধ করা যায়।

উল্লেখ্য, আইনটি ২০২৫ সালের শুরু থেকে কার্যকর হবে। সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোকে আইন মানার জন্য এক বছরের সময় দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সাল থেকে যারা এই নিয়ম মেনে চলবে না, তাদের বিরুদ্ধে বড় আর্থিক জরিমানা আরোপ করা হবে। এমনকি, আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে এই জরিমানা বাড়িয়ে ৫০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত হতে পারে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সংস্থাগুলোকে বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তি উন্নততরভাবে গড়ে তুলতে হবে। এই প্রযুক্তির মধ্যে থাকতে পারে ফেসিয়াল রিকগনিশন বা ডিজিটাল আইডি সিস্টেম। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের বয়স নিশ্চিত করা হবে। তবে, এই ধরনের প্রযুক্তির বাস্তবায়ন মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও সুরক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

প্রসঙ্গত, এই আইন প্রণয়ন দীর্ঘ গবেষণার ফল। অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে শিশুদের ওপর সামাজিক মাধ্যমের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে সতর্ক করে আসছেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ফলে শিশু-কিশোরদের মধ্যে হতাশা, উদ্বেগ এবং ঘুমের সমস্যার মাত্রা বেড়েছে।

২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, ৪০ শতাংশ কিশোর তাদের অনলাইন অভিজ্ঞতার কারণে উদ্বেগ বা হতাশায় ভুগেছে। সাইবার বুলিং এবং বেশি সময় ধরে অনলাইন থাকা এই সমস্যাগুলোর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত শিশুদের সুরক্ষায় একটি বড় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নতুন আইন সামাজিক মাধ্যমের নেতিবাচক প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

তথ্যসূত্র: বিবিসি ও এনবিসি নিউজ

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ