ইচ্ছাকৃতভাবে ওজন বাড়ানোর জন্য এক যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত। ২৬ নভেম্বর দেশটির রাজধানী সিউল পূর্ব জেলার আদালত ওই যুবককে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়। তার বিরুদ্ধে দেশটির মিলিটারি সার্ভিস অ্যাক্ট লঙ্ঘন প্রমাণিত হয়েছে।
দেশটির সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক সেবার দায়িত্ব এড়াতে পরিকল্পিতভাবে ২০ কেজির বেশি ওজন বাড়ান ওই যুবক। ২০১৭ সালে শারীরিক পরীক্ষায় তার ওজন ছিল ৮৩ কেজি, যা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার জন্য সক্রিয় সামরিক সেবার উপযুক্ত। কিন্তু তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিদিনের খাবারের পরিমাণ দ্বিগুণ করার পাশাপাশি উচ্চ-ক্যালোরির খাবার খেতেন। এর জন্য তিনি পার্সেল ডেলিভারির কাজ ছেড়ে দেন। এমনকি শারীরিক পরীক্ষার আগে প্রচুর পানি খেতেন।
২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তিনবারের পরীক্ষায় তার ওজন ছিল ১০২-১০৫ কেজি। যা তাকে সামাজিক সেবার জন্য অনুপযুক্ত করে তোলে। সাজাপ্রাপ্ত ২৬ বছর বয়সী যুবকের ওজন বাড়াতে সহায়তা করা তার এক বন্ধুকেও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে আদালত তাদের নাম প্রকাশ করেনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার মিলিটারি ম্যানপাওয়ার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সেনাবাহিনীতে সেবা এড়ানোর জন্য অভিযুক্তদের একটি তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে তাদের নাম, বয়স, ঠিকানা ও এড়ানোর কারণ উল্লেখ থাকে। ২০২৩ সালে ৩৫৫ জন ব্যক্তি অবৈধভাবে বাধ্যতামূলক সেনা সেবা এড়িয়েছেন। ২০১৫ সালে এই তালিকা প্রকাশ শুরুর পর এটি সর্বোচ্চ সংখ্যা।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সব সক্ষম পুরুষকে ১৮ থেকে ২১ মাসের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হয়, ছবি: বিবিসি
দক্ষিণ কোরিয়ায় সব সক্ষম পুরুষকে ১৮ থেকে ২১ মাসের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হয়। প্রতিবেশি চিরবৈরি দেশ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চলমান উত্তেজনা ও যুদ্ধে জড়ানোর মতো কারণে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সেনা বাহিনীতে কাজ করা বাধ্যবাধকতা করেছে দক্ষিণ কোরীয় সরকার।
শারীরিকভাবে অক্ষম নাগরিকরা সামরিক বাহিনীর পরিবর্তে সামাজিক সেবার কাজ করে থাকেন। তবে নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে বা শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া নাগরিকদের সামাজিক কাজ থেকেও অব্যাহতি দেয় সরকার।
দ্য ইন্ডেপিডেন্ট থেকে অনূদিত
