ওপেকভুক্ত দেশগুলো অপরিশোধিত তেলের সরবরাহ বাড়াতে পারে এমন সম্ভাবনায় বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম সামান্য বেড়েছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বা ১১ সেন্ট বেড়ে ব্যারেলপ্রতি অবস্থান করছে ৬৪ ডলার ৮৫ সেন্টে। আর মার্কিন ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বা ৬ সেন্ট বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬১ ডলার ৫৯ সেন্টে উঠেছে।
তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন আরও বাড়াতে পারে। এমন সম্ভাবনা সামনে রেখে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম সামান্য বেড়েছে। জুলাই মাসে নির্ধারিত বৈঠকে ওপেক প্লাস তাদের উৎপাদন পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে পারে। প্রতিদিন ৪ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল উৎপাদন বাড়াতে পারে এই জোট।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজার এখন ওপেক প্লাসের আসন্ন বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে আছে। যদি উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা আসে, তাহলে তেলের দামে আরও চাপ পড়তে পারে।
রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক সোমবার (২৬ মে) বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়নি ওপেক প্লাসের। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ২৮ মে অনলাইনে অনুষ্ঠিতব্য মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে উৎপাদন কোটা চূড়ান্ত হতে পারে।
এদিকে, ওপেক প্লাসের যে আটটি দেশ অতিরিক্ত স্বেচ্ছায় তেল উৎপাদন কমানোর অঙ্গীকার করেছিল, তারা এখন ৩১ মে আগে নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই আলাদাভাবে বৈঠকে বসতে পারে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে গ্রুপটির তিনটি অভ্যন্তরীণ সূত্র।
ওপেক প্লাস জোটের সদস্যরা এরমধ্যেই টানা দ্বিতীয় মাসের মতো জুন মাসেও তেলের উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তবে বাজারে বড় ধাক্কা এড়াতে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার সময়সীমা তিনি আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেন। ফলে, এখনই কোনো শুল্ক আরোপের শঙ্কা কমে গেছে, যা জ্বালানির চাহিদা কমিয়ে দিত, এমন ভয় ছিল বাজারে। এ সিদ্ধান্তই কিছুটা হলেও মূল্যপতনের লাগাম টেনে ধরবে।
সূত্র: রয়টার্স