দেশের বাজারে ফের সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৮৮ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৮৬ টাকা। বুধবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম (পিওর গোল্ড) বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৯৪ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি ১ লাখ ১৫ হাজার ৩০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার বিক্রয়মূল্য ৯৪ হাজার ৪৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোনার বালা। ছবি: khazanajewellery
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ ১৪ ডিসেম্বর দেশের বাজারে সোনার বাজার মূল্য সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৭৭৩ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩২ হাজার ২০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩১৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার মূল্য ৯৩ হাজার ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৬০ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২৫ বার।
সোনার দাম বাড়ে কেন?
সোনার দাম বাড়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো এই পণ্যে বিনিয়োগ নিরাপদ। বিনিয়োগ নিরাপত্তার কারণে এর প্রতি মানুষের চাহিদাও বেশি। চাহিদা বেশি থাকার কারণে প্রতিদিন বাড়ছে সোনার দাম। এছাড়াও ডলারের দামের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের দাম বেড়ে গেলেই দেশের বাজারে বেড়ে যাচ্ছে স্বর্ণের দাম। এমনটাই দাবি করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।