ভারতের কেরালার ওয়েনাড লোকসভা আসনের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রিয়াংকা গান্ধী। মা সোনিয়া গান্ধী, ভাই রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে সঙ্গে নিয়ে প্রিয়াংকা তার মনোনয়নপত্র জমা দেন।
গত লোকসভা নির্বাচনে দুটি আসন থেকে জয়ী হন রাহুল। একটি রায়বেরিলি, অন্যটি ওয়েনাড। রাহুল রায়বেরিলি রেখে ওয়েনাড আসনটি ছেড়ে দিয়েছেন। ওয়েনাড আসনে ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচন হবে।
ওয়েনাড আসনের ভোটে প্রিয়াংকা জিতলে গান্ধী পরিবারের তিন সদস্যই একসঙ্গে ভারতীয় সংসদের সদস্য হবেন। সে ক্ষেত্রে রাহুলের মতো প্রিয়াংকাও হবেন লোকসভার সদস্য। আর সোনিয়া বর্তমানে রাজ্যসভার সদস্য।
মঙ্গলবার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে প্রিয়াংকা গিয়েছিলেন কর্ণাটকের মহীশূরে। সেখান থেকে ১৪০ কিলোমিটার সড়কপথ পাড়ি দিয়ে তারা পৌঁছান ওয়েনাডে। বুধবার ‘রোড শো’ করে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। এটাই হতে চলছে প্রিয়াংকার প্রথম নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
এই নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারণায় নেমে পড়েছেন প্রিয়াংকা। মা সোনিয়া গান্ধী, ভাই রাহুলকে নিয়ে এক মঞ্চে বক্তব্য রেখেছেন তিনি। বলেছেন, ৩৫ বছর ধরে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। এবারই প্রথম তিনি নিজের সমর্থনের জন্য জনতার সামনে এসেছেন।
প্রিয়াংকার প্রতি পূর্ণ ভরসা রেখে রাহুল গত মঙ্গলবার সামাজিক মাধ্যম এক্সে একটি বিবৃতি দেন। এতে তিনি বলেন, ‘আমার হৃদয়ে ওয়েনাডের জনগণের এক বিশেষ স্থান রয়েছে। তাদের প্রতিনিধি হিসেবে প্রিয়াংকার চেয়ে বেশি ভালো আর কেউ হতে পারেন না।
ওয়েনাডের সব ধরনের প্রয়োজন আন্তরিকতার সঙ্গে তিনি মেটাতে পারবেন বলেই আমি বিশ্বাস করি। সংসদেও জোরালোভাবে তিনি সেখানকার মানুষের চাহিদা ও প্রয়োজন তুলে ধরতে পারবেন। যেভাবে ভালোবেসে ওয়েনাডের প্রতিনিধিত্ব করেছিলাম, সেভাবেই আমরা একযোগে ওয়েনাডের জনগণের প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করব।’
গত সোমবার ওয়েনাড উপনির্বাচন নিয়ে খাড়গে ও অন্য রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রিয়াংকা। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কে হবেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। ওয়েনাডসহ দেশের সব উপনির্বাচন এবং মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নির্বাচনী ফল ঘোষিত হবে ২৩ নভেম্বর।