ইরানের তিনটি সামরিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমানের হামলার পর তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা করেছেন বিশ্ব নেতারা। আর এই হামলাকে ‘নির্লজ্জ আগ্রাসন’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস।
তেহরানে মার্কিন হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশ। এর মধ্যে কিউবা, কলম্বিয়া, চিলি, ভেনেজুয়েলা ও মেক্সিকো। নিজের এক্স পোস্টে হামলার নিন্দা জানিয়ে কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ডিয়াজ কানেল বলেছেন, এর ফলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে।
চিলির প্রেসিডেন্ট গাব্রিয়েল বরিচ হামলার সমালোচনা করে তার এক্সে লিখেন, আমরা শান্তি চাই। এ ছাড়া ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই হামলাকে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আগ্রাসন হিসেবে উল্লেখ করেছে।
অন্যদিকে এই হামলাকে হামাস ‘নির্লজ্জ আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করেছে। এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, এই হামলা ‘আন্তর্জাতিক আইনের ঘোর বিরোধী ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সরাসরি হুমকি।’ ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলসহ বেশ কিছু দেশ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে।
জাতিসংঘের মহাসচিব
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এই হামলাকে চলমান সংঘাতের তীব্রতার ‘ভয়াবহ বৃদ্ধি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন যে এখন ‘সংঘাত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার বড় ধরনের ঝুঁকি’ তৈরি হয়েছে।
এর ফলে ‘বেসামরিক নাগরিক, মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের’ জন্য ভয়াবহ বিপর্যয়মূলক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি। তার পোস্টে তিনি আরো লেখেন যে এই মুহূর্তে ‘শুধু কূটনীতির মাধ্যমে’ এই সমস্যার সমাধান করে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
এদিকে ইরানে হামলার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার টিম শীর্ষ রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। অথচ এ নিয়ে কোনো আলোচনা করেননি শীর্ষ ডেমোক্রেট নেতৃবৃন্দের সঙ্গে। এমনটাই জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।
সূত্র : ফক্স নিউজ, বিবিসি ও সিএনএন