দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট ওলান্টা হুমালা ও তার স্ত্রী সাবেক ফার্স্ট লেডি নাদিন হেরেদিয়াকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে রায় ঘোষণার পরপরই পেরুর রাজধানী লিমায় ব্রাজিল দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয় চান নাদিন। এই সময় তার সাথে ছিল ছেলেও।
অর্থ পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করার পর দেশটির আদালত তাদের এই কারাদণ্ড দেন। যদিও প্রসিকিউশন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডির আরও বেশি শাস্তি দাবি করেছিলেন।

২০১৮ সালে পেরুর রাজধানী লিমায় ফার্স্ট লেডি নাদিন হেরেদিয়া, ছবি: নিউ ইয়র্ক টাইমস
রাজধানী লিমার একটি আদালত জানিয়েছে, হুমালা ২০০৬ ও ২০১১ সালে তার নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ব্রাজিলিয়ান নির্মাণ সংস্থা ওডেব্রেখট থেকে অবৈধ তহবিল গ্রহণ করেছিলেন।
একই অভিযোগে তার স্ত্রী ও সাবেক ফার্স্ট লেডি নাদিন হেরেদিয়া, যিনি হুমালার সঙ্গে ন্যাশনালিস্ট পার্টির সহ-প্রতিষ্ঠাতাও। তাকেও দোষী সাব্যস্ত করে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

শুনানিতে অংশ নিতে পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট ওলান্টা হুমালা আদালতে যাচ্ছেন, ছবি: সিএনএন
প্রসিকিউশন চেয়েছিল হুমালার ২০ বছর এবং হেরেদিয়ার ২৬.৫ বছরের সাজা। দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচার চলার পর মঙ্গলবার আদালত এই বহুল প্রত্যাশিত রায় ঘোষণা করে।
রায় ঘোষণার সময় ৬২ বছর বয়সী হুমালা আদালতে উপস্থিত ছিলেন, আর তার স্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নেন। তবে দুজনেই শুরু থেকেই তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।
সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন ও বিবিসি