Home বিশ্ব ট্রাম্প-মোদির আলোচনায় ৪ বিষয়

ট্রাম্প-মোদির আলোচনায় ৪ বিষয়

হ্যালো বাংলাদেশ ডেস্ক
৪৫ views

দ্বিতীয় মেয়াদে মসনদে বসার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকের পরে উভয় নেতা পরস্পরের উদ্দেশে অনেক প্রশংসাসূচক কথা বলেছেন। বিতর্কিত বিষয়গুলো তারা এড়িয়ে গেছেন। ট্রাম্প-মোদি বৈঠকের চারটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে এই আয়োজন।

ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ (সংক্ষেপে মাগা) স্লোগানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এর একটি ভারতীয় সংস্করণ উপস্থাপন করেন মোদি। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মাগা স্লোগানের সঙ্গে পরিচিত। উন্নত ভারত গড়তে আমরা বেছে নিয়েছি মেক ইন্ডিয়া গ্রেট অ্যাগেইন বা মিগা।’ মোদি বলেন, ‘যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত একসঙ্গে কাজ করে, তখন মাগা ও মিগা এক করে মেগা হয়ে যায়। এটি একটি মেগা অংশীদারত্ব, যা (দুই দেশকে) সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে।’

বিজেপির নীতিকেও ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ এজেন্ডার সঙ্গে তুলনা করেন মোদি। তার দাবি, তিনিও নিজ দেশের স্বার্থকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন।

বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে একটি চুক্তির ঘোষণা দেন দুই নেতা। এই চুক্তির মধ্যে মহাকাশ ভ্রমণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং জ্বালানি উৎপাদনে অংশীদারত্বের বিষয়গুলো থাকবে। মোদি বলেন, ‘আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণের চেয়েও বাড়িয়ে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।’ অন্যদিকে ট্রাম্প বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবং আমি জ্বালানি সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে সম্মত হয়েছি, যা যুক্তরাষ্ট্রকে আবার ভারতের শীর্ষ তেল-গ্যাস সরবরাহকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।’ চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের মতো মিত্রদের সংযুক্ত করবেÑ এমন একটি আন্তর্জাতিক অবকাঠামো প্রকল্পেরও ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প।

দুই নেতার আলোচনায় উঠে আসে ‘সন্ত্রাসবাদের’ আতঙ্ক। মুম্বাই হামলায় অভিযুক্ত শিকাগোর ব্যবসায়ী তাহাওয়ার রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের অনুমোদন দেন ট্রাম্প। ডেনমার্কের একটি সংবাদ সংস্থার ওপর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সহায়তা করার অভিযোগে ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আদালত ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন রানাকে। ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ থাকলেও রানাকে এখনও দোষী সাব্যস্ত করেননি আদালত।

সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক না, বারবার ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে ট্রাম্পকে। মোদি যুদ্ধ নিয়ে বিশেষ কোনো মন্তব্য করেননি। তবে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অবস্থান ভারতকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। ঐতিহাসিকভাবে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের শক্তিশালী সম্পর্ক আছে এবং বাইডেন প্রশাসনের সময় রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করার জন্য ভারতকে চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল।

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ