আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য বেনাপোলে চমক নিয়ে এসেছে মরুর জাহাজখ্যাত সাত উট। প্রতিটি উটের দাম হাঁকানো হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা করে। যার মধ্যে একটি বিক্রিও হয়ে গেছে। উটগুলো সীমান্তবর্তী বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের নাসিরের খামারে। আশপাশের এলাকার মানুষের মধ্যে উট নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন মানুষজন নাসিরের খামারে ছুটে যাচ্ছেন মরুর জাহাজ দেখার জন্য। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষ-অনেকেই উটগুলোর সঙ্গে ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন। সব মিলিয়ে একটা প্রাণবন্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন প্রায় এক বছর আগে সৌদি আরব থেকে এই ৭টি উট আমদানি করে পুটখালীতে নিজের খামারে লালন-পালন করছেন। তা ছাড়া আগে থেকেই তার বাণিজ্যিক গরুর খামার রয়েছে।
নাসির উদ্দিন জানান, শখ করেই তিনি উটগুলো আমদানি করেছিলেন। বর্তমানে এর প্রতিটির উচ্চতা ১২ থেকে ১৫ ফুট। সেগুলো এখন কোরবানির জন্য পুরো প্রস্তুত।
বর্তমানে প্রতিটি উটের উচ্চতা ১২ থেকে ১৫ ফুট
খবর পেয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা আসছেন। প্রতিটি উটের মূল্য তিনি নির্ধারণ করেছেন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা। একটি বিক্রিও হয়ে গেছে। কত টাকায় এগুলো আমদানি করা হয়েছিল তা অবশ্য তিনি জানাননি। শুধু বলেছেন, উটগুলো গত এক বছর ধরে পরম যত্নে লালন-পালন করা হয়েছে। কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
এদিকে খামারের শ্রমিকরা জানান, ঈদুল আজহার জন্য উটগুলোকে বিশেষভাবে যত্ন করে সুস্থ রাখা হচ্ছে। প্রতিদিন পশুগুলোকে গোসল করানো হয়। ভুট্টা, ঘাস আর ছোলা খাওয়ানো হয় নিয়মিত। বিশেষ তালিকা মেনেই উটগুলোকে প্রতিদিন খাবার খাওয়ানো হয়।
শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তপু কুমার সাহা জানান, উট একটি মূল্যবান প্রাণি। যেহেতু এটি এদেশের প্রাণি না, সে কারণে বিশেষ যত্নের ব্যবস্থা নিতে হয়। একই সঙ্গে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে যাতে ইনজেকশন পুশ করে মোটাতাজা না করা হয়। উটগুলোর সুস্থতায় নিয়মিত কৃমিনাশক ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
