Home টপ পোস্ট ইন্টারনেট বঞ্চিত মানুষের তালিকায় বাংলাদেশ বিশ্বে ষষ্ঠ

ইন্টারনেট বঞ্চিত মানুষের তালিকায় বাংলাদেশ বিশ্বে ষষ্ঠ

ইকবাল হোসেন
৯৬ views
ইন্টারনেট বঞ্চিত মানুষ

বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট মানুষের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। বেশিরভাগ মানুষ প্রতিদিন অনলাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী ২৫০ কোটিরও বেশি মানুষ এখনও ইন্টারনেট সুবিধাবঞ্চিত। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৯ কোটি ৬০ লাখ মানুষ রয়েছে। ইন্টারনেটের সুবিধাবঞ্চিত জনসংখ্যার হারের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। বাংলাদেশের ৫৫ শতাংশ মানুষ এখনও ইন্টারনেট সংযোগহীন রয়েছে।

আন্তৰ্জাতিক এক গবেষণা জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বহুজাতিক ক্রিয়েটিভ এজেন্সি উই আর সোশ্যাল ও ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্য ব্যবহার করে ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট গত রোববার এটি প্রকাশ করেছে। এতে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি ইন্টারনেট সুবিধাবঞ্চিত দেশের তালিকা দেয়া হয়েছে।

জরিপের তথ্য অনুসারে, সংখ্যার হিসেবে ইন্টারনেটের সুবিধাবঞ্চিত জনসংখ্যার তালিকার শীর্ষ ১০টি দেশই আফ্রিকা বা এশিয়া মহাদেশের। এর মধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট সংযোগহীন জনসংখ্যা রয়েছে। দেশটির ৬৮ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ অফলাইনে রয়েছেন, যা ভারতের মোট জনসংখ্যার ৪৭ দশমিক ৬ শতাংশ। চীনে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইন্টারনেট সংযোগহীন জনসংখ্যা রয়েছে। দেশটির ৩৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ এখনো ইন্টারনেট সুবিধাবঞ্চিত। চীনের ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট সংযোগহীন রয়েছে।

এদিকে, জনসংখ্যার শতাংশের দিক থেকে ইথিওপিয়া ও উগান্ডার মানুষ সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট সুবিধাবঞ্চিত। দেশ দুটিতে যথাক্রমে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ ও ৭৩ শতাংশ মানুষ অফলাইনে রয়েছে। কঙ্গোর ৭০ শতাংশ জনসংখ্যা ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে রয়েছে।

তালিকায় থাকা অন্য দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের ১৩ কোটি ২০ লাখ মানুষ বা মোট জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ এখনও ইন্টারনেট সুবিধাবঞ্চিত। নাইজেরিয়ার ১২ কোটি ৩০ লাখ মানুষ বা মোট জনসংখ্যার ৫৫ শতাংশ এখনও ইন্টারনেট সুবিধাবঞ্চিত।

তালিকায় স্থান পাওয়া এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের অধিকাংশ ইন্টারনেট সংযোগহীন মানুষ গ্রামীণ এলাকায় বসবাস করছে, যেখানে ইন্টারনেটের সুযোগ সীমিত।

ইন্টারনেট ব্যবহারে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বড় ধরনের বৈষম্য রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই বৈষম্যের কারণ ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, যেসব দেশে ডিজিটাল অবকাঠামো যত উন্নত, সে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার তত বেশি।

ইন্টারনেট ব্যবহারে নারী-পুরুষের ব্যবধান এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের পার্থক্য তৈরি করছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বৈষম্য কমিয়ে আনতে করণীয় সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র কম দামে ইন্টারনেট প্রাপ্তি নিশ্চিত হলেই এ বৈষম্য কমবে না। ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষ যাতে তাদের জীবনের বিদ্যমান সমস্যার সমাধান করতে পারে, এমন উদ্যোগ বেশি করে নিতে হবে। এ জন্য প্রতিটি দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ