বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) জোটের সাত সদস্য দেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সই হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হোটেলে বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ২০তম বৈঠকের আগে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
পরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বিমসটেক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন। এ সময় তিনি তার বক্তব্যে একটি অভিন্ন বিমসটেক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে সম্মিলিত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।
একই সঙ্গে আন্ত-আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে বিমসটেক মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) কার্যকর বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাস্তব ও ফলাফলমুখী সহযোগিতার ওপরও জোর দেন তিনি।
বৈঠকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গার বিষয়টি উত্থাপন করেন তৌহিদ হোসেন। পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে জোর করে বাস্তুচ্যুত এসব নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) অধিকার ও নিরাপত্তার সঙ্গে তাদের ভূমিতে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মিয়ানমারের অনুকূল পরিবেশ তৈরির কথাও বলেন তিনি।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিমসটেক সমুদ্র পরিবহন সহযোগিতা চুক্তি আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধি এবং উন্নত পরিবহন সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। এই চুক্তির প্রধান লক্ষ্য হলো, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সমুদ্রপথে বাণিজ্য ও পরিবহন সুবিধা বৃদ্ধি করা এবং এর মাধ্যমে আঞ্চলিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করা।
বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ২০তম বৈঠকের মধ্যে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের খসড়া আলোচনা এবং সম্মেলনের ঘোষণার খসড়া চূড়ান্ত করেন, যা আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, ২১তম বিমসটেক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক ঢাকা শহরে অনুষ্ঠিত হবে। ২০তম বৈঠকটি প্রতিবেদন গ্রহণের মাধ্যমে শেষ হয়।