চাকরিতে পুনর্বহাল ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কারসহ ৩ দফা দাবিতে ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ জাহাঙ্গীর গেটের সামনে অবস্থান নিয়েছেন গত সরকারের সময়ে চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া সশস্ত্র বাহিনী সদস্যরা। ২৯ ডিসেম্বর (রোববার) সকালে চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের প্লাটফর্ম ‘সহযোদ্ধা’র ব্যানারে এই অবস্থান নেন তারা।
সকাল ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীদের ‘সামরিক বাহিনী সংস্কার চলছে, সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত’ শীর্ষক ব্যানার প্রদর্শন করে জাহাঙ্গীর গেটের বিপরীত সড়কে দাঁড়িয়ে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে তাদের। এ কারণে জাহাঙ্গীর গেটের সামনের সড়কে যানজট দেখা যায়। যানবাহনের সারি বনানী মোড় পর্যন্ত চলে যায়। এতে বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুল-কলেজ ও অফিসগামী মানুষ।

চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের প্লাটফর্ম ‘সহযোদ্ধা’র ব্যানারে তারা এই অবস্থান নেন, ছবি: হ্যালো বাংলাদেশ
আন্দোলনরতদের তিন দফা দাবি হলো, চাকরিচ্যুতির সময় থেকে এ পর্যন্ত সম্পূর্ণ বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরি পুনর্বহাল করতে হবে, যদি কোনো সশস্ত্র বাহিনী সদস্যের চাকরি পুনর্বহাল সম্ভব না হয়, তাহলে তাকে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধাসহ পেনশনের আওতাভুক্ত করতে হবে ও যে আইন কাঠামো ও একতরফা বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে শত শত সশস্ত্র বাহিনী সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে সেই বিচার ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে।

চাকরিচ্যুতদের অবরোধের কারণে রাজধানীর শহীদ জাহাঙ্গীর গেটের সামনের সড়কে তীব্র যানজট, ছবি: হ্যালো বাংলাদেশ
এদিকে সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিক্ষোভকারী ব্যক্তিদের একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সহযোদ্ধার প্রধান সমন্বয়ক মো. নাঈমুল ইসলাম বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে একটি পর্ষদ গঠন করে দাবিগুলোর বিষয়ে আলাপ-আলোচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পরে বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা সড়কের এক পাশে সরে যান।
প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধের পর রাজধানীর জাহাঙ্গীর গেট এলাকার সড়ক খোলে দেয়া হয়। পরে দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে মহাখালী থেকে জাহাঙ্গীর গেট অভিমুখের সড়কে সীমিত পরিসরে যান চলাচল করতে দেওয়া হয়। আর বেলা একটা নাগাদ ওই এলাকায় যান চলাচল পুরোদমে শুরু হয়।