এআই কতটা স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারে তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা একটি অভিনব পরীক্ষা চালিয়েছেন। একটি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ভাবে কোনো মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়া চালানো যায় কিনা এই উদ্দেশ্য থেকেই একটি সম্পূর্ণ সফটওয়্যার কোম্পানি কেবলমাত্র এআই এজেন্ট দিয়ে পরিচালনা করে তারা। উদ্দেশ্য ছিল এআই এজেন্টরা বাস্তব কর্মক্ষেত্রে কতটা কার্যকর হতে পারে তা নির্ধারণ করা।
গবেষকরা একটি কাল্পনিক কোম্পানি তৈরি করেন যেখানে গুগল, ওপেনএআই, অ্যানথ্রপিক এবং মেটার তৈরি বিভিন্ন এআই মডেলকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই এজেন্টরা আর্থিক বিশ্লেষক, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, প্রকল্প ব্যবস্থাপক এবং মানবসম্পদ কর্মকর্তার ভূমিকায় কাজ করে। তাদের কাজের মধ্যে ছিল ফাইল পরিচালনা, অফিস পরিদর্শন, এবং কর্মীদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন।
কিন্তু পরীক্ষার ফলাফল ছিল হতাশাজনক। অ্যানথ্রপিকের ক্লড ৩.৫ সনেট সর্বোচ্চ ২৪% কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছে, যেখানে গুগলের জেমেনাই ২.০ ফ্ল্যাশ ১১.৪% এবং অ্যামাজনের নোভা প্রো ভি১ মাত্র ১.৭% কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছে। প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করতে গড়ে ৩০ থেকে ৪০টি ধাপ লেগেছে এবং প্রতি কাজের খরচ ছিল প্রায় ৬ ডলার।
গবেষকরা উল্লেখ করেন যে এআই এজেন্টরা সাধারণ বোধের অভাব, দুর্বল সামাজিক দক্ষতা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে অদক্ষতা প্রদর্শন করেছে। উদাহরণস্বরূপ, একটি এজেন্ট সঠিক ব্যক্তিকে খুঁজে না পেয়ে অন্য একজনের নাম পরিবর্তন করে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে, যা প্রকৃত সমস্যার সমাধান নয়।
বর্তমান পর্যায়ে এআই এজেন্টরা জটিল ও সৃজনশীল কাজের জন্য মানুষের বিকল্প হতে পারে না। তাদের সীমাবদ্ধতা এবং ব্যয়বহুলতা বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, এআই প্রযুক্তি এখনও এমন পর্যায়ে পৌঁছায়নি যেখানে এটি মানব কর্মীদের সম্পূর্ণভাবে প্রতিস্থাপন করতে পারে।
সূত্র: ফিউচারিজম ও ওয়াইয়ার্ড