Home প্রযুক্তি নতুন অ্যাপ ‘ফ্ল্যাশেসে’ রয়েছে যেসব ফিচার

নতুন অ্যাপ ‘ফ্ল্যাশেসে’ রয়েছে যেসব ফিচার

৪২ views

ফটো শেয়ারিংয়ের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ইন্সটাগ্রামের বিকল্প নতুন অ্যাপ হিসেবে প্রযুক্তি জগতে এসেছে ‘ফ্ল্যাশেস’। জার্মানি ভিত্তিক ডেভেলপার সেবাস্টিয়ান ভোগলসাং-এর তৈরি অ্যাপটি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে। এর মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার বার ডাউনলোড করা হয় এটি। ‘ফ্ল্যাশেস’ ব্যবহার করে একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি ছবি ও সর্বোচ্চ এক মিনিটের ভিডিও আপলোড করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

নতুন অ্যাপ ফ্ল্যাশেস আলোচিত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্লুস্কাই-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি। অর্থাৎ, ব্লুস্কাই তৈরিতে যে প্রোটোকল ব্যবহার করা হয়েছে এই অ্যাপ তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়েছে একই ওপেন সোর্স প্রোটোকল বা ফ্রেমওয়ার্ক। ওপেন সোর্স বা উন্মুক্ত উৎসের হওয়ায় এই প্রোটোকল ব্যবহার করে প্রতিদিনই নতুন অ্যাপ তৈরি করতে পারেন ডেভেলপাররা। সেবাস্টিয়ান ভোগলসাং-ও একইভাবে তৈরি করেছেন ফ্ল্যাশেস অ্যাপটি, যাতে ইন্সটাগ্রামের বিভিন্ন ফিচার যুক্ত করেছেন তিনি।

বলা যায়, অ্যাপটি হলো, ব্লুস্কাই-ভিত্তিক ইন্সটাগ্রামের বিকল্প। ব্লুস্কাই ও ইন্সটাগ্রাম- উভয় প্ল্যাটফর্মের ফিচার দিয়েই সাজানো হয়েছে নতুন এই অ্যাপটিকে। ক্ল্যাসিক ইন্সটাগ্রামের বিভিন্ন ফিচারের পাশাপাশি ব্লুস্কাইয়ের কাস্টম ফিড ব্যবহারের সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারীরা। অ্যাপ স্টোরে আসার পর ইতোমধ্যেই বেশ কিছু আপডেট এসেছে অ্যাপটিতে। ফলে আরও বেশি কার্যকর ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে ফ্ল্যাশেস।

অ্যাপটির যত ফিচার
ক্ল্যাসিক ইন্সটাগ্রামের অভিজ্ঞতা অফার করবে ফ্ল্যাশেস। একসাথে সর্বাধিক ৪টি ছবি ও ১ মিনিট দৈর্ঘ্যের ভিডিও আপলোড করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

ব্লুস্কাই-ভিত্তিক হওয়ায় ফ্ল্যাশেস অ্যাপে করা প্রতিটি পোস্ট ব্লুস্কাই প্ল্যাটফর্মের ৩২ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর কাছে সহজেই পৌঁছে যেতে পারে। অর্থাৎ ফ্ল্যাশেস ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি ব্লুস্কাই-এর ৩২ মিলিয়ন ব্যবহারকারীও ফ্ল্যাশেস পোস্টের সম্ভাব্য পাঠক বা দর্শক।

ইন্সটাগ্রামের মতো দেখতে হলেও, ফ্ল্যাশেস অ্যাপটিতে কাস্টমাইজ করার সুযোগ রয়েছে অনেক বেশি। ৫০ হাজারেরও বেশি কাস্টম ফিড অ্যাক্সেস করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। অর্থাৎ, নিজেদের ফিডে ব্যবহারকারীরা কেমন কনটেন্ট দেখতে চান সেটা নিজেরাই ঠিক করে দিতে পারেন। উল্লেখ্য, ইন্সটাগ্রামে এমনটা করা যায় না, অর্থাৎ নিজেদের মতো করে ফিড কাস্টমাইজ করার সুযোগ নেই মেটার মালিকানাধীন এই অ্যাপে। ফলে অ্যাপটির তৈরি করা অ্যালগরিদম অনুযায়ী ব্যবহারকারীদের ফিড তৈরি হয়।

সেরা পোস্ট (টপ পোস্ট) ও সাম্প্রতিক পোস্ট (লেটেস্ট পোস্ট) দেখানোর বিল্ট-ইন ফিডও রয়েছে ফ্ল্যাশেস অ্যাপে, যেটা ব্লুস্কাই নেটওয়ার্কের প্রতিটি প্ল্যাটফর্মেই দেখা যাবে।

‘পোর্টফোলিও মোড’-এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের ফ্ল্যাশেস প্রোফাইল কিউরেট করতে পারবেন, অর্থাৎ ইচ্ছেমতো সাজাতে পারবেন। ভিজিটররা প্রোফাইলে এসে কোন ছবিগুলো দেখতে পাবেন সেটা আগে থেকেই নির্ধারণ করে দিতে পারেন ব্যবহারকারী। এর ফলে ভিজিটররা ব্যবহারকারীর প্রোফাইলে সেরা ছবিগুলোই দেখতে পাবেন।

সূত্র: টেকক্রাঞ্চ, এনগ্যাজেট

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ