বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত টেসলা প্রোটোটাইপ উন্মোচন করেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। তার এমন বিপ্লবী প্রযুক্তি বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছে। অবশ্য বহু আগেই এটি তৈরির ঘোষণা দিয়ে ছিলেন। এবার প্রোটোটাইপের প্রতি ফ্লাইটের দামও জানালেন। তবে চূড়ান্তভাবে প্রোটাইপে চড়ার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এখনো এর কারিগরি ত্রুটির মেরামত শেষ হয়নি।
বছরের পর বছর ধরে টিজিং ও প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর অবশেষে এই বিলেনিয়ার এমন যান উন্মোচন করলেন। প্রথমবার এটি দেখলে কেউ পুরোপুরি নিশ্চিত হবে না যে এটি আসলে ডানাযুক্ত গাড়ি না গাড়ির মতো বিশাল ড্রোন? তবে সবার সন্দেহ দূর করে মাস্ক জানান, উড়ন্ত টেসলা হলো “পরিবহনের ভবিষ্যত” এবং এটি “বিশ্বের যাতায়াত ব্যবস্থাকে একেবারে বদলে দেবে। এটি বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত টেসলা প্রোটোটাইপ। এটি পরিবহনে বিপ্লব আনবে। ভ্রমণে সময় সাশ্রয় করবে। খোলা আকাশে উড়ার স্বাদ পাবেন ব্যবহারকারীরা।
লঞ্চ ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন উৎসুক জনতা, গণমাধ্যম কর্মী ও প্রযুক্তিবিদরা। ভবিষ্যত পরিবহন সম্পর্কে সাহসী প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে মাস্ক আকাশে টেসলা উড়ে যাওয়ার একটি ভিডিও দেখান, যা দেখতে টর্নেডোর কবলে পড়া গাড়ির মতো। মাস্কের দাবি এটি প্রতি ঘণ্টায় ৫০০ মাইল বেগে পৌঁছাতে পারে এবং দুজন লোক বহন করতে পারে। তবে এটি কোথায় অবতরণ করতে পারে বা এটি বিমান চলাচল আইন পাস করতে সক্ষম হবে কিনা। এসব বিষয়ে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করেননি।
আকাশে নির্দিদ্বায় গাড়ি উড়ে যাওয়ার দৃশ্য সবাইকে আন্দোলিত করছিল তবে ফ্লাইটের দাম শুনে ভ্রু কুঁচকায় অনেকে। মাস্কের উড়ন্ত টেসলার একক ফ্লাইটের জন্য খরচ হবে ১ মিলিয়ন ডলার। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়ছেন। ১ মিলিয়ন লডার গুণতে হবে এই উড়ন্ত গাড়ির স্বাদ পেতে। এই ঘোষণা সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকে মিলিয়ন ডলারের উড়ন্ত গাড়ির ধারণা নিয়ে উপহাস করা শুরু করে। কেউ কেউ দাবি করেন, “শুধু ধনীদের জন্য যারা কর এড়াতে চায়, তারাই এটি ব্যবহার করতে পারবে”।
একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আমি সেই উড়ন্ত টেসলাতে এক মিলিয়ন ডলার ফ্লাইটে ব্যয় করার আগে যেখানে যাচ্ছি সেখানে হেঁটে যাব।” আরেকজন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, হয়তো বা এটা ইলন মাস্কের আরেকটা মনোযোগ আকর্ষণকারী প্রতারণা। যাই হোক না কেন, আমরা অবশ্যই এই উন্নয়নের উপর নজর রাখব। কারণ একটু টেক ম্যানিয়া কে না ভালোবাসে?
সূত্র: এমাজিং ও সাইডার
