খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রার খবর দেশের গণ-মাধ্যমের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমেও গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে। প্রতিবেশি ভারত থেকে শুরু করে ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার একাধিক গণ-মাধ্যম খালেদা জিয়ার লন্ডন যাওয়ার খবর গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পায়।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ৭ জানুয়ারি লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যুক্তরাজ্যে পৌঁছার পর সরাসরি তাকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করার কথা রয়েছে। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেয়া হতে পারে তাকে।
ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ বিমানে করে লন্ডন যাচ্ছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ভারতের আরেক গণমাধ্যম এএনআই এর প্রতিবেদনে বলা হয়, চিকিৎসার জন্য বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন খালেদা জিয়া। দেশটির ফার্স্ট পোস্ট আউটলুকসহ আরও একাধিক গণমাধ্যমও সংবাদটি ঢালাওভাবে প্রকাশ করেছে।
অস্টেলিয়ার গণমাধ্যম এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাচ্ছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ওয়াশিংটন টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন।
আয়ারল্যান্ডের সংবাদ মাধ্যমে দ্য আইরিশ এক্সামিনারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এপির উদৃতি দিয়ে এই সংবাদ প্রকাশ করে পত্রিকাটি। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক প্রশ্ন পেছনে রেখে লন্ডন গেলেন খালেদা জিয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যমে ভয়েস অব আমেরিকার খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ব্রিটেনের দ্য ডেইলি গার্ডিয়ান ও তুরস্কের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম আনাদুলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনেও খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রার খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে।
এর আগে কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ারবাস এ-৩১৯ মডেলের বিমানটিতে চিকিৎসা সংক্রান্ত সব কিছু যুক্ত করা হয়। বিমানটিতে ভেন্টিলেটর, ডিফিব্রিলেটর, ইনফিউশন পাম্প ও উন্নত কার্ডিয়াক মনিটরসহ জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।
