আবারো সংঘর্ষ ও সরকারি বাহিনীর দমন অভিযানে উত্তাল সিরিয়া। দেশটির বর্তমান ইসলামপন্থী সরকারের অনুগত নিরাপত্তা বাহিনী ও বন্দুকধারীরা ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী লাতাকিয়া প্রদেশের আলাউইত অঞ্চলে গত কয়েকদিনে সংখ্যালঘু আলাউইত সম্প্রদায়ের নারী ও শিশুসহ হাজারো মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।
দেশটিতে সংঘাতের খোঁজখবর রাখা যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ১০০০ জনের বেসামরিক লোককে হত্যা করা হয়েছে। সংখ্যালঘু আলাউইত সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করে অন্তত ৩০টি গণহত্যা চালানো হয়েছে।

হামলাকবলিত এলাকাগুলো সরকারি বাহিনী নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে, ছবি: নিউ ইয়র্ক টাইমস
এসওএইচআর- এর প্রধান রামি আব্দুল রাহমান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে সিরিয়ার আলাউইতিদের মূল এলাকা জাবলেহ, বানিয়াসসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে। গত দুইদিনে এক হাজারের বেশি জন নিহত হয়েছে। গত ডিসেম্বরে বাশার আল আসাদের পতনের পর সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা সেখানে চালানো হচ্ছে।
নিহতদের মধ্যে বর্তমান সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী এবং আসাদের যোদ্ধারাও রয়েছে। সংঘর্ষে বর্তমান সরকারের ১২৫ জন নিরাপত্তা রক্ষী এবং আসাদপন্থী ১৪৮ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছে।

লাতাকিয়া প্রদেশে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ, ছবি: নিউ ইয়র্ক টাইমস
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, হামলাকবলিত এলাকাগুলো সরকারি বাহিনী নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। সংঘর্ষ ও দমন অভিযানের কারণে আলাউইত সম্প্রদায়ের শত শত ব্যক্তি এলাকা ছেড়েছে। লাতাকিয়ায় মেইমিমে একটি রাশিয়ান ঘাঁটিতে বড় ধরনের ভিড় দেখা গেছে। ঘাঁটির কাছে অনেকেই রাশিয়ার সুরক্ষার জন্য স্লোগান দিচ্ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার থেকে সিরিয়ার নতুন কর্তৃপক্ষ এই দমন অভিযান শুরু করে। তাদের দাবি, বাশার আল-আসাদের সমর্থক জঙ্গিরা তাদের বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে আর এটি একটি উদীয়মান বিদ্রোহ। অভিযান চলাকালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথাও স্বীকার করেছেন কর্মকর্তারা।
সূত্র: বিবিসি, নিউ ইয়র্ক টাইমস ও সিএনএন