গরম পড়তেই আমরা ময়েশ্চারাইজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেই। ঘাম, রোদ, ধুলাবালি—সব মিলিয়ে মনে হয় ত্বক তো এমনিতেই ‘চিকচিক’ করছে, আর কী দরকার? কিন্তু এটা একটা ভুল ধারণা। বছরের যেকোনো সময়েই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা জরুরি, কারণ সান ড্যামেজ, এয়ার কন্ডিশনড রুম, অতিরিক্ত ধুলোবালি ইত্যাদি গরমেও ত্বককে শুষ্ক করে দিতে পারে। তাই গরমকালে ত্বকের ধরন অনুযায়ী হালকা ও বুদ্ধিমানের মতো বেছে নেওয়া ময়েশ্চারাইজারই হতে পারে স্কিনকেয়ার রুটিনের আসল নায়ক।
গরমে ময়েশ্চারাইজার কেন জরুরি?
- ঘেমে যাওয়া মানেই ত্বক হাইড্রেটেড নয়। ঘামের সঙ্গে জল ও লবণ বেরিয়ে গিয়ে ত্বক আরও ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে।
- সূর্যের তাপ ও ইউভি রশ্মি ত্বকের লিপিড ব্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত করে, যার ফলে ত্বক তার আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে না।
- এসি ত্বকের আর্দ্রতা টেনে নেয়। সারাদিন এসিতে থাকলে ত্বক রুক্ষ ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে।

গরমে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার মানেই ত্বককে সতেজ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখার ক্ষেত্রে কয়েক ধাপ এগিয়ে যাওয়া, ছবি: ফ্রিপিক
ত্বকের ধরন অনুযায়ী কোন ময়েশ্চারাইজার বেছে নেবেন?
- তৈলাক্ত ত্বক- জেল বেসড ময়েশ্চারাইজার, ওয়াটার বা অয়েল-ফ্রি ফর্মুলা, নন-কোমেডোজেনিক (পোর বন্ধ করে না)। উদাহরণ: অ্যালোভেরা জেল, হায়ালুরোনিক অ্যাসিডযুক্ত লাইট জেল
- শুষ্ক ত্বক- হালকা কিন্তু হাইড্রেটিং ক্রিম, সিরাম বা লোশন যেগুলো গ্লিসারিন, সেরামাইড বা শিয়া বাটারযুক্ত। উদাহরণ: গ্লিসারিন-বেসড, শিয়া বাটার বা নন-কোমেডোজেনিক তেলযুক্ত লোশন, ময়েশ্চারাইজিং মিল্ক
- মিশ্র ত্বক- জেল-ক্রীম হাইব্রিড, লাইটওয়েট লোশন যা শুকনো অংশে হাইড্রেশন দেবে কিন্তু তৈলাক্ত অংশ ভারি করবে না। উদাহরণ: নন-কোমেডোজেনিক উপাদানযুক্ত, হালকা অয়েল-ফ্রি লোশন
- সংবেদনশীল ত্বক- সুগন্ধহীন (Fragrance-free) ও অ্যালকোহল-মুক্ত ফর্মুলা, অ্যালোভেরা, ক্যালেন্ডুলা, সিকা, ওট এক্সট্র্যাক্টের মতো উপাদানযুক্ত লাইটওয়েট ক্রিম বা জেল। উদাহরণ: হাইপোঅ্যালার্জেনিক হাইড্রেটিং ক্রিম বা জেল।
গরমে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার মানেই ত্বককে সতেজ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখার ক্ষেত্রে কয়েক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। সঠিক ফর্মুলা বেছে নিলে আপনার ত্বক আর কখনো তেল চিটচিটে বা ‘রুক্ষ’ হবে না।