একটা সময় ছিল বাইরে থেকে ঘরে ফিরে একবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুলেই সবাই ভাবতো ত্বক পরিষ্কার হয়ে গেছে। আসলে ব্যাপারটা এমন নয়। সারাদিন ঘরের বাইরে থাকলে ধুলাবালিসহ অনেক দূষণ আমাদের ত্বকের সংস্পর্শে আসে। এছাড়া ত্বকের সুরক্ষায় আমাদের সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হয়। আবার অনেকেই আছেন রোজ মেকআপ করেন। শুধুমাত্র ফেসওয়াশ দিলে মুখ ধুলেই ধুলাবালি, সানস্ক্রিন, মেকআপ দূর হয় না। এজন্য অন্তত দুইবার দুই ধরনের ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। এটাই হলো সেই ডাবল ক্লিনজিং পদ্ধতি যা স্কিনকেয়ার ইন্ডাস্ট্রিতে রীতিমতো বিপ্লব তৈরি করেছে। কোরিয়ান স্কিনকেয়ার রুটিন থেকে উঠে আসা এই পদ্ধতি এখন বিশ্বজুড়ে রূপচর্চায় সচেতনদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। ত্বক পরিষ্কারের এই পদ্ধতি ডার্মাটোলজিস্ট দ্বারাও স্বীকৃত। ডাবল ক্লিনজিং ছাড়া কোন ত্বকচর্চাই পরিপূর্ণ হবে না।
ডাবল ক্লিনজিং মানে কী?
ডাবল ক্লিনজিং হলো দুটি ধাপে ত্বক পরিষ্কার করার একটি পদ্ধতি—
- তেলভিত্তিক ক্লিনজার দিয়ে প্রথম ধাপে ত্বক থেকে মেকআপ, সানস্ক্রিন, অতিরিক্ত তেল ও দূষণ দূর করা হয়।
- দ্বিতীয় ধাপে ওয়াটার-বেসড (জেল/ফোম) ক্লিনজার দিয়ে ভিতরের ময়লা, ঘাম ও মৃতকোষগুলো পরিষ্কার করা হয়।
কেন এত জরুরি?
- দিনের শেষে ত্বকে জমে থাকা ধুলোময়লা, মেকআপের স্তর এবং অতিরিক্ত সিবাম ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ করে দেয়। ডাবল ক্লিনজিং এসব বাধা সরিয়ে ত্বককে ‘শ্বাস নিতে’ সাহায্য করে।
- যথাযথভাবে পরিষ্কার না হলে ত্বকে জমে থাকা ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে। ডাবল ক্লিনজিং নিয়মিত করলে সেই সম্ভাবনা অনেকটাই কমে।
- আপনার সিরাম, ময়েশ্চারাইজার বা অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট যুক্ত প্রোডাক্টগুলো তখনই কাজ করবে যখন ত্বক পরিষ্কার ও প্রস্তুত থাকবে। ডাবল ক্লিনজিং সে পরিবেশ তৈরি করে।
- দীর্ঘমেয়াদে সঠিক ক্লিনজিং ত্বকের টেক্সচার উন্নত করে, ত্বককে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত রাখে—যা বয়সের ছাপ ঢাকতে সহায়ক।
ডাবল ক্লিনজিং শুধু মেকআপ ব্যবহারকারীদের জন্য নয়। যারা সারাদিন বাইরে থাকেন বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন, তাদের জন্যও এটা অত্যন্ত কার্যকর। এমনকি তৈলাক্ত ও সংবেদনশীল ত্বকের জন্যও উপযোগী পণ্য ব্যবহার করলে ডাবল ক্লিনজিং নিরাপদ ও উপকারী।
