বর্তমানে ডিজিটাল যুগে অনলাইনে কেনাকাটা যেন এক অবিচ্ছেদ্য অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে পোশাক কেনার ক্ষেত্রে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো ক্রেতাদের জন্য সহজলভ্য এবং সময়সাশ্রয়ী বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে অনলাইনে পোশাক কেনার সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে কিছু ঝুঁকিও। তাই এই ধরনের কেনাকাটায় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাইজ গাইড ভালোভাবে পড়ুন
অনলাইনে পোশাক কেনার সময় সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর একটি হলো সাইজ মিল না হওয়া। প্রতিটি ব্র্যান্ডের সাইজিং ভিন্ন হতে পারে, তাই পণ্যের সঙ্গে থাকা সাইজ চার্ট ভালোভাবে দেখে নিজের মাপের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া জরুরি।
রিভিউ ও রেটিং দেখুন
পণ্যের বিবরণে যেটা লেখা থাকে, বাস্তবে সেটা সব সময় মেলে না। তাই অন্য ক্রেতাদের রিভিউ পড়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। রেটিং ভালো না হলে বা কেউ নেগেটিভ মন্তব্য করে থাকলে তা নজরে রাখা উচিত।
ফ্যাব্রিক ও উপকরণের বর্ণনা পরীক্ষা করুন
ছবিতে অনেক সময় পোশাক খুব আকর্ষণীয় লাগলেও, উপকরণের মান ভালো নাও হতে পারে। তাই ‘Material’ বা ‘Fabric Details’ অংশটি পড়ে বুঝে নিতে হবে কাপড়টা কতটা আরামদায়ক ও টেকসই হবে।
রিটার্ন ও রিফান্ড পলিসি জানুন
অনেক সময় পণ্য হাতে পাওয়ার পর দেখা যায়, সেটা মনের মতো হয়নি বা সাইজ ঠিক হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে রিটার্ন বা এক্সচেঞ্জ করার সুযোগ থাকাটা জরুরি। তাই অর্ডার দেওয়ার আগে রিটার্ন পলিসি ভালোভাবে পড়ে নেওয়া উচিত।
বিশ্বাসযোগ্য ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার দিন
অবিশ্বস্ত বা অল্প পরিচিত সাইট থেকে অর্ডার না করাই ভালো। পরিচিত ব্র্যান্ড বা জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে পোশাক কেনা নিরাপদ। এছাড়া ওয়েবসাইটটি HTTPS প্রটোকল ব্যবহার করছে কিনা তা যাচাই করা উচিত।
অফার বা ডিসকাউন্টে অতিরিক্ত লোভ না করা
খুব বেশি ডিসকাউন্ট দেওয়া হলে সেটি সন্দেহজনক হতে পারে। অনেক সময় প্রতারণার উদ্দেশ্যে চমকপ্রদ অফারের ফাঁদ পাতা হয়। তাই বাস্তবসম্মত ডিল ছাড়া বেশি আকর্ষণীয় অফারে পা না দেওয়াই ভালো।
সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে অনলাইন থেকে পোশাক কেনা গেলে এটি হতে পারে সময় ও অর্থ সাশ্রয়কারী একটি দারুণ অভিজ্ঞতা। সতর্ক থাকলে প্রতারণার ফাঁদ এড়িয়ে স্টাইলিশ এবং মানসম্মত পোশাক কিনে নেওয়াও সম্ভব।