রমজান মাসে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তবে এই সময়ে হালকা ব্যায়াম করলে শরীর চাঙা থাকে, হজমশক্তি উন্নত হয় এবং রোজার সময় ক্লান্তি কম অনুভূত হয়। ব্যায়াম শরীরের রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং কর্মক্ষমতা বাড়ায়। তবে রোজার সময় ভারী ব্যায়ামের পরিবর্তে হালকা ব্যায়াম করাই উত্তম।
রোজায় হালকা ব্যায়ামের গুরুত্ব
- হালকা ব্যায়াম মাংসপেশির শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- ইফতারের পর হালকা ব্যায়াম খাবার দ্রুত হজম হতে সহায়তা করে।
- দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর ব্যায়াম করলে শরীরে সজীবতা ফিরে আসে।
- রমজানে ভারী খাবারের প্রভাব কমাতে নিয়মিত হালকা ব্যায়াম সহায়ক।
- ব্যায়াম স্ট্রেস কমায় ও মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়।
রোজায় ৫টি সহজ ব্যায়াম
স্ট্রেচিং (Stretching)
রোজার সময় শরীর নমনীয় রাখতে স্ট্রেচিং গুরুত্বপূর্ণ। হাত, পা ও কোমরের হালকা স্ট্রেচিং করলে পেশির টান কমে এবং শরীর আরামদায়ক অনুভূত হয়।

রোজার সময় শরীর নমনীয় রাখতে স্ট্রেচিং গুরুত্বপূর্ণ, ছবি: ট্রাভেলস দুবাই
ওয়াকিং (Walking)
ইফতারের আগে বা পরে ১৫-২০ মিনিট ধীরে হাঁটা হজমে সহায়তা করে এবং শরীর সক্রিয় রাখে। তবে খুব দ্রুত হাঁটবেন না, কারণ এতে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে যেতে পারে।
নিঃশ্বাসের ব্যায়াম (Breathing Exercise)
গভীর শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার অনুশীলন করলে অক্সিজেন গ্রহণের পরিমাণ বাড়ে, যা শরীরকে সতেজ রাখে ও মানসিক প্রশান্তি দেয়।
নরমাল স্কোয়াট (Normal Squats)
স্কোয়াট করলে পায়ের পেশি শক্তিশালী হয় এবং রক্তসঞ্চালন ভালো থাকে। দিনে ১০-১৫ বার হালকা স্কোয়াট করাই যথেষ্ট।

দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর ব্যায়াম করলে শরীরে সজীবতা ফিরে আসে, ছবি: হিপ এন্ড হেলদি
ইয়োগা (Yoga)
রমজানে হালকা যোগব্যায়াম করলে শরীর শিথিল হয়, স্ট্রেস কমে এবং মন শান্ত থাকে। সহজ আসন যেমন ক্যাট-কাউ পোজ, বাটারফ্লাই পোজ বা কোবরা স্ট্রেচ উপকারী হতে পারে।
রমজানে শরীরকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে হালকা ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে ব্যায়ামের সময় শরীরের প্রতি খেয়াল রাখা জরুরি, যেন ক্লান্তি বা পানিশূন্যতা দেখা না দেয়। হালকা ব্যায়ামের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি ও সুষম খাবার গ্রহণ নিশ্চিত করলে রমজানে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে।