Home সর্বশেষ রাঁধুনী-গৃহপরিচারিকাকে যা দিয়ে গেছেন রতন টাটা

রাঁধুনী-গৃহপরিচারিকাকে যা দিয়ে গেছেন রতন টাটা

মোহাম্মদ রবিউল্লাহ
৮৮ views

গত ৯ অক্টোবর প্রয়াত হয়েছেন ভারতের অন্যতম ধনকুবের ও টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান রতন টাটা। প্রয়াত এই শিল্পপতির সেবা, দানধর্ম হৃদয় ছুঁয়েছে সবার। একই সঙ্গে তার পোষ্য প্রেমের কথাও সবার জানা। মৃত্যুর পর তার উইল প্রকাশ্যে আসলে তাতেই আরেকবার প্রমাণ হলো কেন তিনি সবার প্রিয়।

জানা গেছে, ব্যক্তিগত উইলে পোষা কুকুর টিটোর নাম উল্লেখ করে গেছেন তিনি। সম্পত্তির ভাগ দিয়েছেন তার দীর্ঘদিনের রাঁধুনি ও গৃহ পরিচারকদেরও। উইল সামনে আসতেই জানা গেল কার জন্য কী রেখে গেছেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, তার ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি রুপিরও বেশি। তিনি যে উইল তৈরি করে গেছেন, তাতে প্রিয় পোষ্য কুকুর টিটোর যত্নের কোনও অভাব যেন না হয়। পোষ্য জার্মান শেফার্ডটি যতদিন বাঁচবে, তার সব ধরনের সেবা-যত্নের নির্দেশ দিয়ে গেছেন তিনি। ৬ বছর আগে টিটোকে নিজের ঘরে নিয়ে এসেছিলেন রতন টাটা।

প্রতীভা টাটা

২০০৮ সালে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল-এর কাছ থেকে পদ্মবিভূষণ পদক গ্রহণ করছেন রতন টাটা, ছবি: বিবিসি

এদিকে শুধু পোষ্য প্রেম নয়, যারা দীর্ঘদিন ধরে তার খেয়াল রেখেছিলেন, তাদেরও ভোলেননি রতন টাটা। নিজের উইলে সম্পত্তির একটি অংশ লিখে দিয়েছেন তার দীর্ঘ সময়ের রাঁধুনি রাজন সাউয়ের নামে। যতদিন টিটো বেঁচে থাকবে ততদিন তার জন্য যত টাকা খরচ হয় তা করতে পারবেন রাজন। বরাবর রাজেনকে স্নেহ করে এসেছেন।

শুধু রাজেন নয় নিজের সমস্ত কর্মীদের প্রতি যত্ন নিয়ে এসেছেন রতন টাটা। তিন দশক ধরে তার পরিচারক ছিলেন বাটলার সুব্বিয়াহ। রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও তার নামও উইলে লিখে গেছেন। বিদেশে সফরে গেলেই সেখান থেকেই সুব্বিয়াহর জন্য গিফট নিয়ে আসতেন প্রয়াত এই শিল্পপতি। তার বাকি জীবনের আর্থিক সুরক্ষা দিয়ে গেছেন রতন টাটা।

পরিবারের মধ্যে নিজের ভাই জিমি টাটার জন্য যেমন সম্পত্তির একটি অংশ লিখে দিয়েছেন তেমনই দুই সৎ বোন শিরিন ও ডিয়ানার জন্যও সম্পত্তি রেখেছেন তিনি। বাকি সম্পত্তি তিনি টাটা ফাউন্ডেশনের নামে করে দিয়ে গেছেন।

টিটো

আদরের পোষ্য জার্মান শেফার্ড টিটোও পাচ্ছে রতন টাটার সম্পত্তির ভাগ, ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

শেষ বয়সে রতন টাটার ছায়াসঙ্গী, প্রিয় বন্ধু শান্তনু নাইডুও বাদ পড়েননি উইল থেকে। শান্তনুর স্টার্টআপ ‘গুডফেলোজ’-এ নিজের অংশীদারিত্ব যেমন ছেড়ে দিয়েছেন, তেমনই শান্তনুর বিদেশে পড়তে যাওয়ার খরচও পুরোটাই নিজের সম্পত্তি থেকে দিয়ে গেছেন তিনি।

তথ্যসূত্র: বিবিসি ও দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ