হাইলাইট
শীত চলে এসেছে। সঙ্গে এনেছে ত্বকের শুষ্কতা। শুষ্ক ত্বকের পাশাপাশি যাদের ত্বক তৈলাক্ত, মিশ্র ও সংবেদনশীল তারাও এই সময় ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা ভুগে থাকেন। সাহারা মরুভূমির মতো ত্বকের শুকিয়ে যাওয়া ঠেকাতে শীতে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। এজন্য অনেক কাঠখড় পোড়ানো লাগবে না। শীতে মাত্র তিন ধাপে খুব সহজে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়।
প্রথম ধাপে শীতে ত্বকের যত্ন
শীতে ত্বকের যত্নের প্রথম ধাপ শুরু হয় ত্বক পরিষ্কারের মাধ্যমে। এর শুরু করুন ক্লিনজার ব্যবহারের মাধ্যমে। এজন্য ত্বকের উপযোগী ক্লিনজার বেছে নিতে হবে। এমন ক্লিনজার যা ত্বকের ধুলাবালি পরিষ্কার করার পরও ত্বক আর্দ্র রাখবে। তাই হাইড্রেটিং উপাদান যেমন হায়ালুরনিক এসিড, গ্লিসারিন, সেরামাইডস, অ্যালোভেরা ইত্যাদি আছে এমন ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে।

ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে অবশ্যই হাইড্রেটিং সিরাম ব্যবহার করতে হবে, ছবি: ফ্রিপিক
দ্বিতীয় ধাপ শীতে ত্বকের যত্ন
ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে অবশ্যই হাইড্রেটিং সিরাম ব্যবহার করতে হবে। ক্লিনজারের মতোই হায়ালুরনিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন, সেরামাইডযুক্ত সিরাম বেছে নিন। ভিটামিন ই এবং পলিগ্লুটামিক অ্যাসিডও হাইড্রেটিং উপাদান হিসেবে বেশ কার্যকর। পলিগ্লুটামিক অ্যাসিড হায়ালুরনিক অ্যাসিডের চেয়ে চার গুণ বেশি আর্দ্রতা ধরে রাখে। এ ছাড়া প্ল্যান্ট-বেসড উপাদান, যেমন আরগান অয়েল, অ্যালোভেরা, রোজহিপ অয়েল, মারুলা অয়েল, জোজোবা আছে— এমন সিরামও শুষ্ক ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী। আপনার ত্বকের ধরণ বুঝে শীতে ত্বকের যত্ন নিতে হবে।

শুষ্ক ত্বকের জন্য ভারী ওয়াটার-বেসড ক্রিম বা জেল লাগাতে হবে, ছবি: মিনিমালিস্ট
তৃতীয় ধাপ
একদম শেষ ধাপে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। শুষ্ক ত্বকের জন্য ভারী ওয়াটার-বেসড ক্রিম বা জেল লাগাতে হবে। এর প্রধান উপাদান হিসেবে থাকতে হবে হায়ালুরনিক অ্যাসিড, ডাইমেথিকন, গ্লিসারিন, প্রপিলিন গ্লাইকোল, সরবিটল, প্রোটিনস বা ইউরিয়া। কারণ এসব উপাদান ত্বক আর্দ্র করে। ময়েশ্চারাইজার সেকেন্ডারি উপাদানও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
তাই ব্যবহৃত জেল বা ক্রিমে ল্যানোলিন, মিনারেল অয়েল বা পেট্রোলিয়াম— এই তিনটি উপাদান বা এর কাছাকাছি কিছু থাকতে হবে। কারণ, এগুলো ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। তবে যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা চাইলে মিনারেল অয়েল আছে এমন ময়েশ্চারাইজার এড়িয়ে যেতে পারেন।
শীতে ত্বকের শুষ্কতা রোধে আরও কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন দিনে সবার অন্তত আট গ্লাস পানি পান করা উচিত। শীতে বাজারে অনেক শাক-সবজি পাওয়া যায়। ত্বকের সুস্থতার জন্য শীতকালীন শাক-সবজি খেতে হবে।