ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি। রোববার (১ জুন) ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এটি নিশ্চিত করেছে। ইসরায়েলি আকাশসীমায় এসব ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত হওয়ার পরপরই সাইরেন বাজিয়ে বিভিন্ন শহরের বাসিন্দা সতর্ক করে দেয় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার দাবি করেছে আইডিএফ।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলের একাধিক অঞ্চলে সাইরেন বাজানোর পরপরই ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে ইসরায়েলে কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য জানায়নি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এর আগে, বুধবার (২৫ মে) ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা।
হুথির দাবি, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনের অংশ হিসেবে এসব হামলা চালাচ্ছে তারা। গাজায় গত মার্চে শেষ হওয়া দুই মাসব্যাপী যুদ্ধবিরতির সময় হামলা বন্ধ রেখেছিল হুথি বিদ্রোহীরা। তবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি বাহিনী ফের সামরিক অভিযান শুরু করায় আবারও ইসরায়েলে হামলা শুরু করে হুথি।
ইসরায়েলি বাহিনী ইয়েমেন থেকে ছোড়া বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার দাবি করেছে। গত মে মাসের শুরুর দিকে হুথিদের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীরে আঘাত হানে।
ইসরায়েল এসব হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইয়েমেনে একাধিক পালটা হামলা চালিয়েছে। যার মধ্যে ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর ও অন্যান্য বন্দরও রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গাজার ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলার দাবি করছে হুথি গোষ্ঠী।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল