প্রথমবারের মতো স্মার্ফ উৎসবে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে ইউরোপের দেশ ফ্রান্সের ছোট শহর ল্যান্ডারনিউ। এবার ৩ হাজারের বেশি মানুষ র্যালিতে অংশ নেয় বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
স্মার্ফে অংশগ্রহণের দিক দিয়ে আগের রেকর্ড ছিল জার্মানির লাউচারিংজেন শহরের দখলে। ২০১৯ সালে লাউচারিংজেনের স্মার্ফ উৎসবে ২,৭৬২ মানুষ অংশগ্রহণ করে। এরপর ইউরোপের আর কোনও দেশের উৎসবে এতো মানুষ জড়ো হয়নি।
ছবি: আল জাজিরা
এবার ফ্রান্সের এই শহরে ৩,০৭৬ জন মানুষ অংশ নেয়। তাদের কেউ কেউ নীল পোশাক পরে, কেউ কেউ মুখে নীল রঙ লাগিয়ে, আবার অনেকে সাদা টুপি পরে আসেন। অনেকে আবার স্মার্ফি গান গাইতে গাইতে একত্রিত হন।
ছবি: আল জাজিরা
উৎসবে অংশ নেওয়া ৮২ বছরের প্রবীণ সিমনি প্রোনোস্ট জানান, এক বন্ধুর কারণে আমি স্মার্ফ উৎসবে অংশ নিয়েছি। স্মার্ফ পোশাক পড়ে বৃদ্ধ বয়সে আনন্দই লাগছে। মনে হচ্ছে যৌবনে ফিরে এসেছি।
ছবি: আল জাজিরা
আলবানি দিলারিভারি নামে ২০ বছর বয়সী এক তরুণী জানান, আমি রিনাস শহর থেকে ল্যান্ডারনিউ শহরে এসেছি। রিনাস ল্যান্ডারনিউ থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এই উৎসবে অংশ নিয়ে আমার দুর্দান্ত লাগছে। রেকর্ড খাতায় ল্যান্ডারনিউকে যুক্ত হতে সাহায্য করাটাও এখানে আসার কারণ বলেও জানান এই তরুণী।
ছবি: আল জাজিরা
স্মার্ফ উৎসবের আনন্দ লেগেছে ল্যান্ডারনিউ’র মেয়র প্যাট্রিক ল্যাকলার্সের ওপরও। নিজে আপাদমস্তক স্মার্ফ সেজে উৎসবে আসেন। উৎসবে অংশ নিয়ে তিনি জানান, মানুষজন দলে দলে উৎসবে যোগ দেয়। এতো মানুষ সমাবেত হবে তা আমরা ভাবিনি।
ছবি: আল জাজিরা
স্মার্ফ উৎসব আয়োজক প্রধান প্যাসাল শন জানান, মানুষের সমবেত হওয়ার পেছনে রয়েছে বহুরুপী সাজ। এই উৎসবটি মানুষকে মজা করার ও কয়েক ঘণ্টার জন্য একটি কাল্পনিক জগতে প্রবেশ করার সুযোগ দেয়। তাই সবাই আনন্দ নিয়েই উৎসবে আসেন।
ছবি: আল জাজিরা
এবার মানুষ বেশি অংশগ্রহণের কারণ অনুকূল আবহাওয়া। গত বছর বৈরি আবহাওয়ার কারণে মানুষ উৎসবে অংশ নিতে পারেনি। তবে গত বছরের মতো এবার ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বেশি মানুষ উপস্থিত হন।
ছবি: ফ্রান্স২৪
উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সালে বেলজিয়ামের কার্টুনিস্ট পেয়োর ফরাসি ভাষার কাল্পনিক চরিত্র স্মার্ফ। স্মার্ফ হচ্ছে মানুষের মতো দেখতে ক্ষুদ্র এক প্রাণি যারা বনে বসবাস করে। তখন থেকে প্রিয় চরিত্রগুলো বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজিতে পরিণত হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই চরিত্র নিয়ে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন সিরিজ, বিজ্ঞাপন, ভিডিও গেম, থিম পার্ক ও খেলনা তৈরি হয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা ও ফ্রান্স২৪ ডটকম
