রাজধানীর রামপুরার থেকে ৯০ দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের ম’রদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রামপুরার বিটিভি ভবনের পেছনের নিজ বাসস্থান থেকে পুলিশ তার ম’রদেহ উদ্ধার করে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, শিল্পী মনি কিশোরের অস্বাভাবিক মৃ’ত্যু হয়েছে। অন্তত ৪ থেকে ৫ দিন আগে তার মৃ’ত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, মনি কিশোর পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। রেডিও, টিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন।
তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘কী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তার সবচেয়ে শ্রোতৃপ্রিয় গান ‘কী ছিলে আমার’ তারই সুর করা, তারই লেখা। ২০টির মতো গান লিখেছেন ও সুর করেছেন মনি কিশোর।
পুলিশ জানায়, স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর দীর্ঘ বছর ধরে মনি কিশোর বাসায় একাই থাকতেন। তার একমাত্র মেয়ে আমেরিকা প্রবাসী।”
বাড়িওয়ালার কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে জনপ্রিয় এই গায়কের লাশ উদ্ধার করেছে। ওই বাসার বাড়িওয়ালা ভাড়ার জন্য দরজায় গিয়ে নক করেন। অনেকক্ষণ ধরে কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না। এরমধ্যে কেমন গন্ধ টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে বিছানায় তার নিথর দেহ দেখতে পায়।
শুনেছি গত কয়েকদিন তাকে বাইরে বের হতে দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে ৪-৫ দিন আগেই তিনি মারা গেছেন। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া না যাওয়ায় ওসির ধারণা অসুস্থ্যতাজনিত কারণে মনি কিশোর মারা যেতে পারেন। বাসায় সিটি স্ক্যান, এমআরআই রিপোর্টসহ কিছু মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
তবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ এরইমধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় রামপুরা থানা পুলিশ।
প্রায় এক যুগ আগে এই শিল্পীর সবশেষ গানের অ্যালবাম বেরিয়েছিল। তবে রেডিও, টিভিতে মাঝেমাঝে গান গেয়েছেন। স্টেজ শো’তেও অনিয়মিতভাবে গেয়েছেন। গানের জগতে আসার আগে থেকেই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গানে অনিয়মিত হলেও জড়িত ছিলেন কাপড়ের ব্যবসার সঙ্গে।
মনি কিশোর নামে সংগীতাঙ্গনে পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম মনি মণ্ডল। কিশোর কুমারের ভক্ত ছিলেন বলে নামের সঙ্গে ‘কিশোর‘জুড়ে নিয়েছিলেন। এ তথ্য তিনি নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন।