রাজধানীর একটি হোটেলে গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ, কমিউনিকেশন সামিটের ১৩তম অধিবেশন। এতে উপস্থিত ছিলেন দেশ ও বিদেশের বিশেষজ্ঞ ও ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশন শিল্পে কর্মরত শীর্ষস্থানীয় পেশাজীবী, নীতিনির্ধারক এবং ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ। সামিটে উদ্ভাবনী ধারণার মাধ্যমে কীভাবে ভবিষ্যতের ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং–এর সুযোগগুলোকে কাজে লাগানো যায়, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
‘ডিজরাপ্টিং দ্য নর্ম: ফিউচার অফ ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং’ থিমকে কেন্দ্র করে এই সামিটটি মূলত ব্র্যান্ড ও এজেন্সিগুলো কীভাবে নতুনত্বের সঙ্গে চলমান ডিজিটাল জগতে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে এবং সফলতা অর্জন করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়। দুটি কিনোট সেশন, একটি লিডারস ডায়লগ, চারটি প্যানেল ডিসকাশন ও দুটি ইনসাইট সেশন নিয়ে সাজানো সামিটে বারবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে সৃজনশীল ধারণার বিস্তৃতি, ব্র্যান্ডিংয়ের স্বচ্ছতা, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের মতো গুরুত্বপূর্ন বিষয়াবলি।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আজকের ন্যায় পরিবর্তনশীল সময়ে, ব্র্যান্ডগুলোকে গন্ডির বাইরে এসে সাহসী পথচলার সূচনা করতে হবে। ভোক্তার আস্থা অর্জনে স্বচ্ছতা ও উদ্দেশ্যভিত্তিক মার্কেটিং এখন অত্যাবশ্যক।’
কমিউনিকেশন সামিট ২০২৪ এ কিনোট বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফিরদৌস ইউসুফ, হেড অফ ক্রিয়েটিভ, ফরসম্যান এবং বোডেনফর্স সিঙ্গাপুর এবং মইজ খান, ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, এডেলম্যান। সামিটের লিডারস ডায়লগে বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনী শিল্পের এযাবৎ কালের যাত্রা নিয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতার আলোকে কথা বলেন গীতিয়ারা সাফিয়া চৌধুরী, ফাউন্ডার এন্ড চেয়ারম্যান, অ্যাডকম এবং মুনির আহমেদ খান ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও ক্রিয়েটিভ চিফ, ইউনিট্রেন্ড। সেশনটি পরিচালনা করেন আশরাফ বিন তাজ, জেনারেল সেক্রেটারি, এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশন (এএমএফ); কো ফাউন্ডার এন্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর, আইডিসি বাংলাদেশ।
প্রথম প্যানেল ডিসকাশনে কিভাবে ব্র্যান্ডের স্বচ্ছতা বাড়ানোর মাধ্যমে অন্যদের থেকে আলাদা হওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয় । এটি পরিচালনা করেন নাজিম ফারহান চৌধুরী, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, অ্যাডকম; যেখানে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ফারহা নাজ জামান, মার্কেটিং ডিরেক্টর, গ্রামীণফোন; অরূপ আই, এজেন্সি হেড এন্ড চিফ ক্রিয়েটিভ স্ট্র্যাটেজিস্ট, মাইটি; সাইফুল আজম চৌধুরী মুকুল, এক্সিকিউটিভ ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, গ্রে অ্যাডভারটাইজিং বাংলাদেশ; শারজিল করিম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইন্টারস্পিড অ্যাডভারটাইজিং এবং শাদমান সাদিকীন, মার্কেটিং ডিরেক্টর – হোম কেয়ার হেড, ডিজিটাল হাব, ইউনিলিভার বাংলাদেশ।
এছাড়াও দুটি ইনসাইট সেশনে এহসানুল হক, রিজিওনাল পার্টনার ডিরেক্টর, এপিএসি, মিডিয়াম বাংলাদেশ এবং তানজিন আলম, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, ডেলহিভেরি যথাক্রমে আলোচনা করেন দর্শক ও ভোক্তা হিসেবে জেনজি প্রজন্মের বিকাশ ও চিন্তাধারা এবং বাংলাদেশে ব্যতিক্রমী ধারার বিজ্ঞাপনের গুরুত্ব নিয়ে। পরবর্তী প্যানেল ডিসকাশনগুলোতে আলোচিত হয় সময়োপযোগী বিভিন্ন বিষয় যেমন, সংকটকালে সৃজনশীলতা: অনিশ্চিত সময়ে ব্র্যান্ডগুলো কীভাবে কার্যকরীভাবে যোগাযোগ করতে পারে, উদ্দেশ্যভিত্তিক মার্কেটিং: কীভাবে সামাজিক পরিবর্তনের জন্য ব্র্যান্ড তৈরি করা যায় এবং ব্যবসায়িক মূল্য বাড়ানো যায় ইত্যাদি।
১৩তম কমিউনিকেশন সামিটে আরও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দা উম্মে সালমা, চেয়ারম্যান ও সিইও, ব্র্যান্ডগিয়ার; কৌশিক দে, এক্সিকিউটিভ ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, ইন্টারস্পিড অ্যাডভারটাইজিং লি.; মোহাম্মদ আকরাম হোসেন, এক্সিকিউটিভ ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, এশিয়াটিক মার্কেটিং কমিউনিকেশনস; দ্রাবির আলম, সিওও ও ডিরেক্টর, এক্স – ইন্টিগ্রেটেড মার্কেটিং এজেন্সি; জাকিয়া জেরিন, সিনিয়র ম্যানেজার, মার্কেটিং কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনজিউমার এনগেজমেন্ট, নেসলে বাংলাদেশ; সালাহউদ্দিন শাহেদ, সিইও, এফসিবি বিটোপি সহ অন্যান্যরা।
কমিউনিকেশন সামিট ২০২৪– এর সহযোগিতায় ছিল মিনিসো বাংলাদেশ। স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার – বাংলাদেশ ক্রিয়েটিভ ফোরাম (বিসিএফ), ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভার্টাইজিং অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ, রোয়ারিং লায়ন্স; নলেজ পার্টনার – মার্কেটিং সোসাইটি অফ বাংলাদেশ (এমএসবি); টেকনোলজি পার্টনার – আমরা টেকনোলজিস; হসপিটালিটি পার্টনার – লা মেরিডিয়ান ঢাকা; পিআর পার্টনার – ব্যাকপেজ পিআর। কমিউনিকেশন সামিটট বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের একটি উদ্যোগ।