রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি থেকে ক্যাডেট এসআই ৮২৩ জনের মধ্যে ২৫০ জনের অধিক প্রশিক্ষনার্থীকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাদেরকে অব্যহতি দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এডিশনাল ডিআইজি মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর ক্যাডেট এসআই সদস্যদের ট্রেনিং শুরু হয়েছিলো। এটি শেষ হবার কথা ছিল ৪ নভেম্বর।
গত ২০ অক্টোবর বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদা, রাজশাহীতে শিক্ষানবিশ পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্যকারণবশত তা স্থগিত করা হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন মহলের অনেক ধরনের আলোচনা চলছিল। এর মধ্যে মঙ্গলবার ২৫০ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসআইকে অব্যাহতি দেওয়ার খবর এলো।
উপপরিদর্শক (এসআই) পদমর্যাদার এই পুলিশ কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে ‘ডিসচার্জ’ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাডেমির অধ্যক্ষ ও পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাসুদুর রহমান ভুঞা।
মঙ্গলবার সকালে তিনি জানান, প্রশিক্ষণ চলাকালে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে ২৫২ জনকে চাকরি থেকে ‘ডিসচার্জ’ করা হচ্ছে। এটার প্রসেস চলছে। চিঠি ইস্যু হচ্ছে।
পুলিশে এসআই পদে চাকরির জন্য প্রার্থীকে শারীরিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। পরীক্ষা দিতে হয় কম্পিউটার চালানোর দক্ষতার ওপরেও। এসব ধাপ পেরিয়ে প্রার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এরপর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থী ‘আউটসাইড ক্যাডেট’ হিসেবে সারদায় এক বছরের জন্য মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
সাধারণত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে আউটসাইড ক্যাডেট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এই পাসিং আউটের পর মৌলিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসআইদের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে মাঠপর্যায়ে কাজে পাঠানো হয়। সেখানে একবছর পূর্ণ হলে তাদের চাকরি স্থায়ী করা হয়ে থাকে।