জরিমানা গুনে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা সারা বছর অনলাইনে রিটার্ন দিতে পারবেন। তবে সে জন্য ২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। সর্বোচ্চ ২৪ মাসের জন্য ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত এই সুদ আরোপিত হবে।
কাস্টমস দিবসের অনুষ্ঠানে রোববার (২৬ জানুয়ারি) এই তথ্য জানান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, ৩১ জানুয়ারির পর অনলাইনে রিটার্ন জমা বন্ধ হয়ে যাবে না। ৩৬৫ দিনই এটা করা যাবে। যারা ৩১ জানুয়ারির পর অনলাইন মাধ্যমে রিটার্ন জমা দেবেন, তাদের জন্য হিসাব অন্য রকম হবে। তাদের ব্যয় বাড়বে; ২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।
আবদুর রহমান খান বলেন, এখন পর্যন্ত ১২ লাখ করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এই সংখ্যা ১৫ লাখ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। আগারগাঁওয়ের এনবিআর মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ৩১ জানুয়ারি রিটার্ন জমার সময়সীমা শেষ হচ্ছে। এ বছর দুই দফা এক মাস করে সময় বাড়ানো হয়েছে।
এবার কিছু ক্ষেত্রে রিটার্ন জমার ধরন পাল্টে অনলাইনে জমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গত ২২ অক্টোবর এনবিআরের আদেশে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার সরকারি কর্মকর্তা, তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানির কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তাদের অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বহুজাতিক কোম্পানিগুলো হলো ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাটা শু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড ও নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি। এসব কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনলাইনে রিটার্ন জমা বেড়েছে।