এক মাস সিয়াম সাধনার পর দেশে উদযাপন হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম বিশ্বের এই উৎসবের দিনে জনবহুল ঢাকা মহানগরী ঈদের ছুটি মানে ভিন্ন চিত্র। প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি হয়ে পড়ে ফাঁকা। তবে যারা প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে ছেড়ে যান না রাজধানী, তারা ভিড় করেন শহরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।
এখন, ফাঁকা শহরে আনন্দ ভ্রমণের অন্যতম জায়গা হাতিরঝিল আর চিড়িয়াখানা। তাই তীব্র গরম উপেক্ষা করেই নগরবাসী ছুটে গেছেন সেখানে। হাতিরঝিলে ওয়াটার ট্যাক্সিগুলো অন্যান্য দিনের মতো যাত্রী পারাপার বন্ধ করে ৩ দিন চালু করেছে আনন্দ ভ্রমণ। জনপ্রতি ৮০ টাকা, সময় ৩০ মিনিট। আর তাতে দালানঘেরা শহরে হাতিরঝিলের মতো খোলা জায়গা অনেকেই বেছে নেন ভ্রমণের জন্য।
রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য জাতীয় চিড়িয়াখানা। প্রতি ঈদেই এখানে ব্যাপক মানুষের সমাগাম থাকে। আর শিশুদের জন্য জাতীয় চিড়িয়াখানা ঈদে বেড়ানোর অন্যতম জায়গা। সকাল থেকেই ভিড় জমে এখানে৷ হরিণ-বাঘের সাথে সময় কাটে সারাদিন। শুধু কি শিশু, ছোটদের হাত ধরে নিয়ে আসেন যারা তাদেরও আনন্দময় সময় কাটে ঘুরে ফিরে৷ এভাবে ঈদের সময়টিতে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোও ভরে উঠে কানায় কানায়।
এছাড়া জাতীয় জাদুঘর, ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড (শিশু মেলা), হাতিরঝিল, রমনা পার্ক, নভোথিয়েটার, বিজ্ঞান জাদুঘর, সামরিক জাদুঘর, বিমান জাদুঘর, রবীন্দ্র সারোবর দর্শনার্থীদের কাছে অধিক জনপ্রিয়। এ ছাড়াও ঢাকার অদূরে রয়েছে ফ্যান্টাসি কিংডম ও নন্দন পার্ক। ঈদের ছুটিতে এসব বিনোদনকেন্দ্র দর্শনার্থীদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
শ্যামলীর শিশু মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েছে। এটি এখন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। ৪০টির মতো রাইডের মধ্যে পরিবারের সবার চড়ার উপযোগী আছে ১২টি রাইড। বাকিগুলো শিশুদের। রাজধানীতে প্রিয়জনদের সঙ্গে মনোরম পরিবেশে সময় কাটানোর উৎকৃষ্ট জায়গা হাতিরঝিল। ঝিলের মনোরম দৃশ্য ৪ দৃষ্টিনন্দন সেতুগুলোতে অনেকেই ঈদের দিন বিকেলে সময় কাটাতে আসেন।
এছাড়াও ধানমন্ডির সংসদ ভবন ও রবীন্দ্র সরোবরেও দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। একই সঙ্গে টিএসসি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক, চন্দ্রিমা উদ্যানসহ খোলামেলা সব জায়গায় ঘুরে বেড়িয়ে ঈদ উদযাপন করছেন রাজধানীবাসী।
নভোথিয়েটার, বিজ্ঞান জাদুঘর, সামরিক জাদুঘর, বিমান জাদুঘরেও অনেক মানুষের আনাগোনা দেখা যায়। নিত্য নতুন জিনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ বরাবরই বেশি থাকে। তাই এসব জাদুঘরেও রয়েছে দর্শনার্থীদের সমাগম।