জলবায়ুর ধ্বংসাত্মক প্রভাব মোকাবেলায় একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। তিন বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উচিত স্বল্পোন্নত এবং অন্যান্য জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সাথে সহযোগিতা জোরদার করা। যাতে অত্যাধিক কার্বন নিঃসরণের ফলে জলবায়ুর যে অভিঘাত তা নিরসনে পরিবেশবাদীসহ সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক এবং সরকারিভাবে জলবায়ুর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করা।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) আগারগাঁও মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর অডিটোরিয়ামে দুই দিনব্যাপী জলবায়ু ন্যায্যতা ঘোষণাপত্র ২০২৪ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, জলবায়ু ফাউন্ডেশনের উপ-আঞ্চলিক পরিচালক সাইনান হাগটন, এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ও এশিয়ান এনার্জি নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক লিডি ন্যাকপিল এবং সম্মেলন কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিব শরীফ জামিল।
শারমীন মুরশিদ বলেন, বনায়ন, জলাভূমি রক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, টেকসই কৃষি রক্ষাসহ সমাজে নারীর যাবতীয় বিপর্যয় রক্ষার জন্য জলবায়ুর ধ্বংসাত্মককে মোকাবেলা করতে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।
উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে জলবায়ুর ন্যায্যতার জন্য লড়াই এবং একটি শক্তিশালী জলবায়ু আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বক্তারা বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জলবায়ু ন্যায্যতার জন্য জোরালো অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।