Home বিশ্ব কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য শুল্ক হার নির্ধারণ

কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য শুল্ক হার নির্ধারণ

৩৩ views

আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারদের জন্য শুল্ক হার নির্ধারণ করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ ট্রাম্প প্রশাসনের সব বাণিজ্য অংশীদারদের সাথে আলাদা আলাদাভাবে চুক্তি করার ক্ষমতা নেই।

মধ্যপ্রাচ্য সফরের শেষ দিনে গত শুক্রবার (১৬ মে) সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে এক ব্যবসায়িক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্প শুক্রবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তি করতে চাওয়া দেশের সংখ্যা এত বেশি যে দ্রুত তাদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে আলোচনার সুযোগ নেই। তাই আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ও বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লাটনিক এসব দেশের কাছে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেবেন, যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করতে হলে কী হারে শুল্ক দিতে হবে।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এখন একই সময়ে ১৫০টি দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে চাইছি, কিন্তু এতো দেশের সঙ্গে একসঙ্গে বসা সম্ভব নয়। তাই শিগগিরই আমরা সবাইকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেব—খুব ন্যায্যভাবে—তাদের কত হারে শুল্ক দিতে হবে।’

যেসব দেশের সঙ্গে চুক্তি হবে না, সেসব দেশের জন্য ট্রাম্প উচ্চহারে শুল্ক বসাতে পারেন—কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। যদিও এগুলো ‘পারস্পরিক’ নয়, বরং ছোট দেশগুলোর ক্ষেত্রে অসম ভারসাম্য সৃষ্টি করবে, যাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি বেশি।

আবুধাবি

আমিরাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ছবি: ডালাস টাইমস

ট্রাম্প বলেন, ‘তারা চাইলে আপিল করতে পারে, কিন্তু আমরা যেহেতু সবার সঙ্গে দেখা করতে পারছি না, তাই খুব ন্যায্যভাবেই তাদের জানিয়ে দেব শুল্ক কত হবে।’

অতীতেও ট্রাম্প একই হুমকি দিয়েছেন, তবে কার্যকর সময়সীমা পার হয়ে গেছে। গত ২৩ এপ্রিল হোয়াইট হাউসে তিনি বলেন, যেসব দেশ নতুন চুক্তি করবে না, তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র নিজের মতো করে শুল্ক নির্ধারণ করবে।

এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য ও চীনের সঙ্গে দুটি নতুন বাণিজ্য কাঠামো ঘোষণা করেছে, যা শুল্ক কমাতে সহায়তা করেছে। এই দুটি চুক্তি পৃথকভাবে স্কট বেসেন্ট ও মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার সম্পন্ন করেন।

ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রশাসনের বক্তব্য, ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গেও আলোচনা এগোচ্ছে, যদিও দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন সরকার আসায় আলোচনা কিছুটা পিছিয়ে গেছে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় সব পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ সাধারণ শুল্ক বহাল রয়েছে, কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর এর চেয়েও বেশি হার প্রযোজ্য। যদিও প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা ১০ শতাংশকে ‘বেসলাইন’ (ন্যূনতম) বললেও, ট্রাম্প নিজেই এর বিরোধিতা করেছেন এবং জানিয়েছেন বেশির ভাগ দেশের ক্ষেত্রে এই হার ১০ শতাংশের চেয়েও বেশি হবে।

যেসব দেশ আগামী কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে না, তাদের ওপর কী হারে নতুন শুল্ক বসবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। এগুলো পুরোনো রেসিপ্রোকাল শুল্কের স্থলে স্থায়ী হবে, না আলোচনার মধ্যবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে, সেটাও স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস সিএনএন

 

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ