চার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং এর আওতাধীন সব অফিসে। এ কারণে এনবিআরের কার্যক্রম কার্যত বন্ধ রয়েছে।
রোববার (২৫ মে) সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর এনবিআর প্রধান কার্যালয়ে নিচে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতির কর্মসূচি পালন করছেন।
সকাল নয়টার পর থেকেই কর্মকর্তারা প্রধান ফটক ও দোতলার মিলনায়তনে অবস্থান নিয়েছেন। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এনবিআর চেয়ারম্যান নিজের কার্যালয়ে আসেননি। তবে গতকালকের মতো আজও ভবনের ভেতরে ও বাইরে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য। রয়েছেন নারী পুলিশেরও বেশ কিছু সদস্য।
কিছু কর্মকর্তা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রধান ফটকে বসে পড়েছেন। এদিকে প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় গাড়ি নিয়ে ঢোকা কিংবা বের হওয়া যাচ্ছে না। তাই হেঁটে কর্মকর্তারা ভবনে ঢোকেন।
সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা না পাওয়ায় গতকাল পূর্বঘোষিত কলম বিরতি কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
নতুন ঘোষণা না এলে ২৬ মে (সোমবার) থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে বলে জানা গেছে।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের দাবি মূলত চারটি। প্রথমত, জারিকৃত অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করা; দ্বিতীয়ত, অবিলম্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা; তিন, রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা; চার, এনবিআরে প্রস্তাবিত খসড়া ও পরামর্শক কমিটির সুপারিশ ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মতামত নিয়ে রাজস্বব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করা।