নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ কষ্টার্জিত টাকা কোথায় বিনিয়োগ করবেন—তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে থাকেন। দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষ প্রতিদিনের খরচ মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতেও মানুষ অল্পকিছু টাকা বিনিয়োগের চেষ্টা করেন। বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্র বেশি নেই। অনেকে তাদের টাকা কোথায় কীভাবে বিনিয়োগ করবেন তা যথাযথভাবে জানেন না।
দেশে বিনিয়োগের জনপ্রিয় ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে— জমি ও স্বর্ণ কেনা, ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা জমা রাখা, ডাকঘর সঞ্চয়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ও জাতীয় সঞ্চয়পত্র। বেশি সুদ পাওয়া যায় বলে সম্প্রতি ব্যাংকে আমানত রাখার পাশাপাশি সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ড কেনাও বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
জমি কেনা
তুলনামূলকভাবে নিরাপদ হওয়ায় দেশে অনেকে জমি বা আবাসনে বিনিয়োগ লাভজনক মনে করেন। ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় দেশে আবাসন সবচেয়ে জরুরি। নগরায়ণের সঙ্গে সঙ্গে জমি কমে যাওয়ায় এর দাম ক্রমাগত বেড়েই চলছে। অনেকে মনে করেন টাকাই মাটি, মাটিই টাকা। সে ক্ষেত্রে জমি কিনে রাখতে পারেন। বছর ঘুরলে সাধারণত জমির দাম বাড়ে। অনেক সময় বাড়েও না। সুতরাং জেনে-বুঝেই কিনতে হবে। নিচু জমি কিনে মাটি ভরাট করেও অনেকে বেশি দামে তা বিক্রি করেন। তবে জমি কেনার আগে সাবধান। দলিল পরীক্ষা করুন, বারবার যাচাই-বাছাই করুন। এক জমি কয়েকজনের কাছে বিক্রির উদাহরণ এ দেশেই আছে।
স্বর্ণে বিনিয়োগ নিরাপদ
স্বর্ণকে বলা হয় ‘সেফ হেভেন’। এর মানে হচ্ছে বড় ক্ষতির আশংকা ছাড়া বিনিয়োগ করা যায় যেখানে। স্বর্ণে বিনিয়োগ সব সময়ই নিরাপদ। যদিও স্বর্ণের দামের সঙ্গে বিশ্ব অর্থনীতির গভীর সম্পর্ক রয়েছে। অনিশ্চয়তার সময় মূলবান ধাতুটির দাম বাড়ে। যত বেশি মূল্যস্ফীতি, তত বেশি স্বর্ণের মূল্যবৃদ্ধি হয়। দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। স্বাধীনতার পর গত ৫৩ বছরে স্বর্ণের দাম ৮৩৬ গুণ বেড়েছে। ১৯৭১ সালে স্বর্ণের ভরি ছিল ১৭০ টাকা। চলতি বছরের ২৩ নভেম্বর ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁডিয়েছে এক লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকায়, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশে শেয়ারবাজারে অনিশ্চয়তার কারণে মানুষের আস্থা অনেক কম। সে কারণে সাধারণ মানুষ স্বর্ণে বিনিয়োগ করেন। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মনে করেন স্বর্ণের দাম বাড়লে বা কমলে তাতে আকাশ-পাতাল ফারাক হয় না। ফলে এটি ঝুঁকিমুক্ত। স্বর্ণের একটি ব্যবহারিক উপযোগিতা রয়েছে, সেটাও এ খাতে বিনিয়োগ জনপ্রিয় হবার আরেকটি কারণ। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, স্বর্ণের চাহিদা সবসময় থাকে। ব্যাবসায়ীরা জানান, স্বর্ণ সব সময়ই নগদ টাকার সমতুল্য। কারণ, আপনি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নগদ টাকায় রূপান্তর করতে পারবেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্বর্ণের অলংকারে বিনিয়োগ করাই ভালো।
ব্যাংকে টাকা রাখা
দেশের ব্যাংকগুলোতে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করা যায়। স্থায়ী আমানতও (এফডিআর) করা যায়। আবার মাসে মাসেও টাকা রাখা যায়। সরকারি-বেসরকারি সব ব্যাংকই হতে পারে এ বিনিয়োগের জায়গা। গত বছর ঋণ ও আমানতের সুদের হারের ঊর্ধ্বসীমা তুলে নেওয়ায় ব্যাংক বা ব্যাংক বহির্ভূত প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখা বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এতে ব্যাংকে টাকা রাখার হার বেড়ে যায়। বেশিরভাগ ব্যাংক এখন মেয়াদি আমানতে নয় শতাংশের বেশি সুদ দিচ্ছে। কয়েক মাস আগেও তা ছিল পাঁচ শতাংশেরও কম। ঋণের সুদের হারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে আমানতের সুদহার।
সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকে স্বল্পমেয়াদি আমানত রাখলে সুদ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। আবার ব্যাংকের ধরনভেদে সুদের হারে তারতম্য রয়েছে। বেসরকারি ব্যাংকে এক বছরের কম মেয়াদি স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) ক্ষেত্রে গড় সুদহার ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আর এক বছরের বেশি মেয়াদি স্থায়ী আমানত ও ডিপোজিট পেনশন স্কিম বা ডিপিএসের ক্ষেত্রে গড় সুদহার ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। সরকারি ব্যাংকে এক বছর মেয়াদি স্থায়ী আমানতের গড় সুদহার ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আর এক বছরের বেশি মেয়াদের স্থায়ী আমানত ও ডিপিএসের ক্ষেত্রে এই গড় সুদহার ৮ দশমিক ২২ শতাংশ। বিশেষায়িত ব্যাংকের ক্ষেত্রে এক বছরের কম মেয়াদি স্থায়ী আমানতের ক্ষেত্রে গড় সুদহার ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। এক বছরের বেশি মেয়াদের স্থায়ী আমানত ও ডিপিএসের ক্ষেত্রে এই সুদহার ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এ ছাড়া বিদেশি ব্যাংকের ক্ষেত্রে এক বছরের কম মেয়াদি স্থায়ী আমানতের গড় সুদহার ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এক বছরের বেশি মেয়াদের স্থায়ী আমানত ও ডিপিএসের ক্ষেত্রে এই সুদহার ৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
ডাকঘর সঞ্চয়
টাকা জমানোর ক্ষেত্রে দেশে সবচেয়ে পুরোনো মাধ্যম ডাকঘর। একসময় ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক (সাধারণ হিসাব), ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক (মেয়াদি হিসাব) এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক (বোনাস হিসাব)—এ তিন ধরনের হিসাব ছিল, যেখানে মানুষ টাকা রাখতে পারতেন। ১৯৯২ সাল থেকে বোনাস হিসাবটি বন্ধ করা হয়। বাকি দুটি চালু রয়েছে।
ডাকঘর সঞ্চয়ে ১ (এক) বছর, ২ (দুই) বছর অথবা ৩ (তিন) বছর মেয়াদী হিসাব খোলা যায়। এক্ষেত্রে মুনাফার হার ১ (এক) বছরের জন্য ১০.২০ শতাংশ, ২ (দুই) বছরের জন্য ১০.৭০ শতাংশ এবং ৩ (তিন) বছরের জন্য ১১.২৮ শতাংশ। আমানতকারী ইচ্ছা করলে প্রতি ৬ মাস অন্তর মুনাফা উত্তোলন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ শতাংশ, ২য় বছরে ৯.৫০ শতাংশ এবং ৩য় বছরে ১০ শতাংশ হারে মুনাফা প্রদান করা হয়।
সরকার বিনিয়োগের উচ্চসীমা দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে একক নামে ১০ লাখ বা যুগ্ম নামে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগসীমা বেঁধে দিয়েছে। এখন এই সীমাই রয়েছে। অথচ সাধারণ ও মেয়াদি উভয় হিসাবেই টাকা রাখা যেত একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ বা যুগ্ম নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত।
হিসাব দুটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সব শ্রেণি-পেশার বাংলাদেশি নাগরিকই এতে টাকা রাখতে পারেন। উভয় হিসাবেই নমিনি নিয়োগ করা যায়, পরিবর্তন করা যায় আবার বাতিলও করা যায়। অন্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে, সাধারণ হিসাবে এক মাসেও সুদ তোলা যায়। আর মেয়াদি হিসাবে ছয় মাস পরপর সুদ তোলা যায়। স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্বিনিয়োগ করার সুবিধাও রয়েছে এতে।
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ
কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনা বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগের একটি জনপ্রিয় ক্ষেত্র। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ শতাংশের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছেন। দেশে এই হার প্রায় এক শতাংশ। একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তা ধরে রেখে একজন বিনিয়োগকারী অর্থবছরের শেষে শেয়ার ও নগদ লভ্যাংশ পেয়ে থাকেন।
পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টধারীরা যেকোনো পরিমাণ অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারেন। তাদের দরকার ব্রোকারেজ হাউসে বিও (বেনিফিশিয়ারি মালিকের) অ্যাকাউন্ট।
যেকোনো বিনিয়োগের তুলনায় শেয়ারবাজার বেশি লাভ দেয়। তবে অবশ্যই এ বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদি হতে হবে এবং বুঝেশুনে করতে হবে। আর ভালো কোম্পানি সাধারণত বছর শেষে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ই। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়গুলো হচ্ছে কোম্পানির মৌল ভিত্তি, শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস), মূল্য আয় (পিই) অনুপাত, নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি), লভ্যাংশের গড়, কোম্পানির ঋণ এবং দেশের অর্থনৈতিক, কখনো কখনো রাজনৈতিক অবস্থা।
কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত যত কম, বিনিয়োগের জন্য তা তত ভালো। সাধারণত ১০ থেকে ১৫ পিই অনুপাত হলে ভালো। এর বেশি হলে একটু ঝুঁকিপূর্ণ। তবে কোম্পানির আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকলে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। কারণ, আয় বাড়লে পিই অনুপাত কমে যাবে।
বিনিয়োগের আগে কোম্পানির রিজার্ভ ও সঞ্চিতির পরিমাণও বিবেচনায় নেওয়া দরকার। সঞ্চিতি নেতিবাচক হলে বুঝতে হবে পুঞ্জীভূত লোকসান রয়েছে। ফলে লভ্যাংশ হিসেবে না-ও দিতে পারে। বিনিয়োগে এনএভি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
কোনো কোম্পানির প্রতি শেয়ারের বিপরীতে যে পরিমাণ সম্পদ রয়েছে, তা-ই হচ্ছে এনএভি। যেমন কোনো কোম্পানির নিট সম্পদ যদি হয় এক লাখ টাকা, আর মোট শেয়ার যদি হয় ১০০টি, তাহলে এনএভি হবে এক হাজার টাকা। যে কোম্পানির এনএভি যত বেশি, সে কোম্পানি তত ভালো।
সঞ্চয়পত্র
২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র ছিল সরকারের অভ্যন্তরীণ অর্থ সংগ্রহের প্রাথমিক উৎস। তাই বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে এটি জনপ্রিয় হয়েছিল। প্রতিযোগিতামূলক সুদের হার কম ও সঞ্চয়পত্র ইস্যুতে কঠোর নিয়মের কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথম এগারো মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমেছে।
চার ধরনের সঞ্চয়পত্রে ভিন্ন ভিন্ন হারে সুদ দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। সাধারণত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও মৃত কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরাই এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন। পরিবার সঞ্চয়পত্রে পাঁচ বছর মেয়াদ শেষে মুনাফা পাওয়া যায় ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ হারে। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ শেষে সুদের হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র তিন বছর মেয়াদি। এই সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ শেষে সুদের হার ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
সবাই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারলেও সরকারের কঠোর নিয়মের কারণে তা সবার জন্য সম্ভব হয়ে উঠছে না। নানান নিয়মনীতি ও খরচের চাপে সঞ্চয়পত্রে নতুন বিনিয়োগের তুলনায় মানুষ বেশি পরিমাণে তুলে ফেলছেন।
সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ড
টি-বিল ও টি-বন্ড নামে পরিচিত সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ড বিনিয়োগকারীদের জন্য লাভজনক হয়ে উঠেছে। এখানে সবচেয়ে বেশি সুদ দেওয়া হয়। সব ধরনের ট্রেজারি বিলের সুদের রেকর্ড ১১ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এটি ব্যাংক আমানতের সুদের হারের তুলনায় অনেক বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারকে ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার পর আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণ বেড়েছে। ৯১ দিনের ট্রেজারি বিলের সুদ বর্তমানে ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ১৮২ দিনের বিলের সুদ ১১ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ৩৬৪ দিনের বিলের সুদ ১১ দশমিক ৬০ শতাংশ। গত বছরের জুনে এগুলো ছিল যথাক্রমে ছয় দশমিক ৯৫ শতাংশ, সাত দশমিক ২৫ শতাংশ ও আট দশমিক ৩০ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগের কারণে দেশের যে কেউ সহজেই ট্রেজারি বিলে টাকা রাখতে পারেন। টি-বিলের মূল দাম একাধিক নিলামের মাধ্যমে জারি করা হয়। খুচরা বিনিয়োগকারীরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্থানীয় অফিস, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস থেকে এগুলো কিনতে পারেন। বিনিয়োগের সর্বনিম্ন সীমা এক লাখ টাকা নির্ধারণ করা হলেও সর্বোচ্চ সীমা বলা হয়নি। ট্রেজারি বিল সরকার জারি করায় এখানে বিনিয়োগকে ঝুঁকিমুক্ত হিসেবে দেখা হয়। কারণ, বাংলাদেশ কখনো ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়নি। মূল টাকা ও মুনাফা বা সুদ মেয়াদপূর্তির পর দেওয়া হয়।
ঝুঁকি এড়াতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য নেওয়া জরুরি। বিনিয়োগকারীদের বিকল্প পথগুলোও দেখতে হবে। ঝুঁকি কমানোসহ অন্যান্য কারণগুলো চিহ্নিত করতে হবে।