Home খেলা স্পেনকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন রোনালদোর পর্তুগাল

স্পেনকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন রোনালদোর পর্তুগাল

স্পোর্টস ডেস্ক
৩১ views

একে একে তিনটি করে পেনাল্টি শটে দুপক্ষই সফল হলো। তবে চতুর্থ শটে গিয়ে স্পেনের আলভারো মোরাতার শট ঠেকিয়ে দিলেন দিয়োগো কস্তা। এরপর পঞ্চম ও শেষ শটে রুবেন নেভেসের সফল স্পট কিক, আর উল্লাসে ফেটে পড়ল পর্তুগিজ শিবির। দ্বিতীয়বারের মতো উয়েফা নেশন্স লিগের শিরোপাজয়ের উৎসবে মাতল পর্তুগাল।

মিউনিখের আলিয়ান্স আরেনা স্টেডিয়ামে ১২০ মিনিটের খেলা ২-২ সমতায় শেষ হওয়ার পর টাইব্রেকারে গতবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে নেশন্স লিগের চতুর্থ আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রথম আসরের শিরোপাজয়ীরা।

গত আসরের ফাইনালও গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। সেখানে ক্রোয়েশিয়াকে ৫-৪ ব্যবধানে হারালেও এবার আর পারল না স্প্যানিশরা। পর্তুগিজ গোলরক্ষক কস্তার বীরত্বের পর ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো অ্যান্ড কোম্পানির কাছে হার মানতে হলো লা রোহাদের।

অথচ শুরুর গল্পটা কিন্তু এমন ছিল না। প্রথমার্ধে শুরুতেই গোল করেছিল স্পেনই। এরপর নুনো মেন্দেসের গোলে পর্তুগাল সমতায় ফিরলে ওইয়ারসাবালের গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গিয়েছিল দলটি। তবে বিরতির পর স্পেনের দুর্দান্ত সেই পারফর‌ম্যান্সে ভাঁটা পড়ে, আর রোনালদোর গোলে আবারও সমতায় ফেরে পর্তুগাল। এরপর নব্বই মিনিট, এমনকি ১২০ মিনিটের খেলায়ও দুদলের কেউ ব্যবধান গড়তে ব্যর্থ হলে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে মোরাতার শট ঠেকিয়ে জয়ের পাল্লা নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে নেন কস্তা।

এর ফলে দুবার নেশন্স লিগের ফাইনালে উঠে দুবারই শিরোপা উঁচিয়ে ধরার গৌরব অর্জন করল পর্তুগাল। অন্যদিকে, টানা তিনবার ফাইনালে উঠেও দুবার হতাশ হতে হলো স্পেনের।

পুরো ম্যাচে বলের দখল, গোলের প্রচেষ্টা, শট লক্ষ্যে রাখা—সব বিভাগেই সেরা দল ছিল স্পেন। ৬১ শতাংশ সময় পজেশন ধরে রেখে ১২০ মিনিটে মোট ৮১২ পাস দেয় দলটি, যেখানে ৫০৯ পাস দেওয়া পর্তুগালের পজেশন ছিল মাত্র ৩৯ শতাংশ। ম্যাচজুড়ে পর্তুগাল শট নেয় মাত্র সাতটি, যার গোল হওয়া ওই দুটি শটই কেবল লক্ষ্যে রাখতে পারে; অপরদিকে ১৬টি শট নিয়ে ৬টি লক্ষ্যে রেখেও কাজের কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে লা রোহারা।

তবে মাঠের খেলায় ক্ষুরধার আক্রমণের অভাবে ভোগা স্পেনকে এদিন প্রথমার্ধের পর থেকেই চেনা যায়নি। অপরদিকে, উপযুক্ত সময়ে যথাযথ খেলোয়াড় বদলি করে নিজেদের সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন পর্তুগালের কোচ রবের্তো মার্তিনেস।

এ ছাড়া ম্যাচজুড়ে স্পেনের একের পর এক আক্রমণ রুখে দেওয়া দিয়োগো কস্তা টাইব্রেকারেও কাজের কাজটি করে দিয়েছেন একেবারে সঠিক সময়ে। ফলে শেষ পর্যন্ত গত কয়েক বছর ধরে একপ্রকার অপ্রতিরোধ্য স্পেনকে মাটিতে নামিয়ে শিরোপা নিয়ে ঘরে ফিরেছে তারাই। আর ব্যর্থতার পসরা সাজানোর পর প্রতিপক্ষকে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে দেখে হাততালি দিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যদের।

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ