৩৬
রমজান মাসে রোজা রাখার পাশাপাশি নামাজ, তারাবি, সেহরি ও অন্যান্য ইবাদতের কারণে সাধারণ দিনের চেয়ে ঘুমের রুটিনে বড় পরিবর্তন আসে। অনেকেই ঠিকমতো ঘুম না পাওয়ায় সারাদিন ক্লান্তি অনুভব করেন, যা কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। পর্যাপ্ত ও মানসম্পন্ন ঘুম নিশ্চিত করলে শরীর ও মনের ক্লান্তি দূর হবে এবং রোজা পালনও সহজ হয়ে উঠবে।
রমজানে ঘুম কম হলে যেসব সমস্যা হয়
- ঘুমের অভাবে শরীরে শক্তি কমে যায়, ফলে সারাদিন অলসতা ও অবসাদ অনুভব হয়।
- কাজে বা ইবাদতে মনোযোগ কমে যেতে পারে।
- কম ঘুম ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনে প্রভাব ফেলে, ফলে বারবার ক্ষুধা লাগে।
- পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর সহজেই রোগ-ব্যাধির ঝুঁকিতে পড়ে।
রমজানে পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করার উপায়
- রমজানে ঘুমের সময় স্বাভাবিক দিনের চেয়ে পরিবর্তিত হয়। তাই নিয়মিত সময় অনুযায়ী ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।রাত ১১টা থেকে ফজরের আগে পর্যন্ত ৩-৪ ঘণ্টা ঘুমান।সেহরির পর ফজরের নামাজ পড়ে অন্তত ২-৩ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। দুপুরে ৩০-৪৫ মিনিট বিশ্রাম (পাওয়ার ন্যাপ) নিলে ক্লান্তি দূর হয়।
- ইফতার বা সেহরিতে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও মসলাযুক্ত খাবার খেলে হজমে সমস্যা হয় এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। সেহরির সময় হালকা কিন্তু পুষ্টিকর খাবার খান, যা সহজে হজম হয়।
- ইফতারের পর বেশি চা বা কফি পান করলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
- শোবার আগে ফোন বা টিভির স্ক্রিনের দিকে কম তাকান, কারণ নীল আলো (Blue Light) মস্তিষ্ককে জাগিয়ে রাখে। ঘুমানোর অন্তত ৩০ মিনিট আগে মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার বন্ধ করুন।
- ঘর অন্ধকার, ঠান্ডা ও নীরব রাখুন, যাতে দ্রুত ঘুম আসে। আরামদায়ক বিছানা ও বালিশ ব্যবহার করুন।
- হালকা ব্যায়াম করলে ঘুম ভালো হয়। তবে তারাবির নামাজের পরপরই ব্যায়াম করা এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি ঘুমে সমস্যা তৈরি করতে পারে।