Home বিশ্ব চীনের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ

চীনের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭৬ views

চীনের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গত সপ্তাহে তিনি এই আহ্বান জানান বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। তাইওয়ানের চারপাশে চীনের সেনাবাহিনীর বৃহৎ আকারের সামরিক মহড়ার কয়েকদিন পর জিনপিংয়ের এই আহ্বান সামনে এলো। শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত সম্প্রচারকারী সিসিটিভি অনুসারে, গত বৃহস্পতিবার পিপলস লিবারেশন আর্মি রকেট ফোর্সের একটি ব্রিগেড পরিদর্শন করার সময় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার এই মন্তব্য করেন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, সামরিক বাহিনীকে “বিস্তৃতভাবে প্রশিক্ষণ এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি জোরদার করা উচিত (এবং) নিশ্চিত করা উচিত যে, সৈন্যদের দৃঢ় যুদ্ধের সক্ষমতা রয়েছে”।

তিনি আরো বলেছেন, সৈন্যদের অবশ্যই “তাদের কৌশলগত প্রতিবন্ধকতা এবং যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। চীন তাইওয়ানকে তার ভূখণ্ডের অংশ হিসাবে দাবি করে থাকে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে স্ব-শাসিত এই দ্বীপের চারপাশে বেইজিং তার শক্তি প্রদর্শন ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। চীনের কমিউনিস্ট নেতারা জোর দিয়ে বলেছেন, তারা তাইওয়ানকে বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে আনতে শক্তি প্রয়োগ করতেও অস্বীকার করবেন না।

চীনের সেনা বাহিনী

তাইওয়ানের চারপাশে চীনের সেনাবাহিনীর বৃহৎ আকারের সামরিক মহড়া, ছবি: সাউথ চায়রা মনিং পোস্ট

সিসিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শি বৃহস্পতিবার বলেছেন, চীনের সামরিক বাহিনীকে অবশ্যই “দেশের কৌশলগত নিরাপত্তা এবং মূল স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।

উল্লেখ্য, তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমা দেশগুলোর দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে। তাইওয়ান পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ, যা তাইওয়ান প্রণালীর পূর্বে চীনা মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। অবশ্য তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং। ১৯৪৯ সালে চীনে কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করার পর তাইওয়ান দেশটির মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যদিও তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং। এরপর থেকে তাইওয়ান নিজস্ব সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ