৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৯৫ জন নিহত এবং ১৭২ জন আহত হয়েছেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে চলমান সংঘাতের ফলে লেবাননে নিহতের সংখ্যা ১,০০০ ছাড়িয়েছে এবং ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ লেবাননে হেজবুল্লাহ’র বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরু করেছে। তবে তারা দাবি করছে যে, এ অভিযান “সীমিত” ও “সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে” পরিচালনা করা হচ্ছে।
হামলার আগে, ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) বৈরুতের দক্ষিণের তিনটি এলাকা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। আইডিএফ জানিয়েছে, যেসব জায়গায় হামলা হচ্ছে সেগুলো ইসরায়েলি কমিউনিটির জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

হেজবুল্লাহর ডেপুটি কমান্ডার নাইম কাসেম বলেন, তারা ইসরায়েলের স্থল অভিযানের জন্য প্রস্তুত এবং এই যুদ্ধ ‘দীর্ঘমেয়াদী’ হতে পারে। এটি হাসান নাসরাল্লাহর মৃত্যুর পর তার প্রথম মন্তব্য।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়ুভ গ্যালান্ট সীমান্তের সৈন্যদের উদ্দেশে বলেন, ইসরায়েল ‘আকাশ, সাগর ও ভূমি’ থেকে আক্রমণের জন্য প্রস্তুত।
এদিকে, লেবাননের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির আইন আল-হিলওয়েতে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে। একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই শিবিরে ফাতাহ’র সামরিক শাখা লক্ষ্যবস্তু ছিল।
প্রতিবেশী সিরিয়ায়, দামেস্কে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সিরিয়ান রাষ্ট্রীয় টিভি এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে, তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ ব্যাপারে এখনও মন্তব্য করেনি।

এ অবস্থায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড্যাভিড ল্যামি যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন, তবে তারা ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকেও সমর্থন জানিয়েছেন।
লেবাননে চলমান এই সংঘাত পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ও মানবিক বিপর্যয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর পদক্ষেপের দাবি রাখে।
তথ্য: বিবিসি ও আল জাজিরা