ধ্বংসস্তুপ থেকে জেগে উঠেছে ইরাকের বিখ্যাত শহর মসুল। ২০১৪ সালে জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এটি। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ঐতিহ্যবাহী মসজিদ ও চার্চগুলোও। অবশ্য ২০১৭ সালে শহরটি আইএস মুক্ত হওয়ার পর ইউনেস্কোর তত্ত্বাবধানে শুরু হয় সংস্কার। লম্বা সময় ধরে পুনর্নির্মাণ শেষে আবার সর্বসাধারণের জন্য বুধবার খুলে দেওয়া হয়েছে এই স্থাপনাগুলো।
দুইশ’ বছর ধরে শহরটি পরিচিত ছিল সম্প্রীতি ও সহ-অবস্থানের প্রতীক হিসেবে। কিন্তু আইএস এটির দখল নেওয়ার পর হিংসার আগুনে পুড়েছে এর সবকিছু। জঙ্গিরা হত্যা করে বিরোধী মতার্দশের ব্যক্তি এবং নির্মম নির্যাতন চালায় সংখ্যালঘুদের ওপর। বোমা মেরে ধ্বংস করা হয় শহরটির সর্বোচ্চ মিনার আল হাদবা মিনার। শুধু তাই নয়, আল-নুরী মসজিদের ভেতরেও বিস্ফোরণ ঘটায় আইএস জঙ্গিরা।
এ ছাড়া দুইশ’ বছর আগের নটর ডাম ডি এল হেউর-এ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে জঙ্গিরা। আল সাআ নামের এই চার্চটি সংস্কারের পর আবারও খুলে দেওয়া হলো। দীর্ঘদিন পর চার্চে ফিরে ফাদার অলিভিয়ের পেকুইলন জানান, সংস্কার শেষে চার্চ ও মসজিদ খুলেছে। এটি আনন্দের সংবাদ। কিন্তু এটিই যথেষ্ট নয়। সবার মাঝে আস্থা ফেরাতে হবে। নইলে ব্যর্থ হবে এই পুনর্নির্মাণ।
উল্লেখ্য, এই সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে ইউনেস্কোর তদারকিতে। এতে সংস্থাটির ব্যয় হয়েছে ১১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর পুনর্নির্মাণ প্রকল্প কাজে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইউরোপীয় ইউনয়ন।
সূত্র: বিবিসি
