স্পেসশিপ বা মহাকাশযান চালানোর অভিজ্ঞতা পৃথিবীর কয়জনের আছে? তবে খুব বেশি দেরি নেই যখন রাস্তায় গাড়ি চালিয়েই পাওয়া যাবে মহাকাশযান চালানোর মতো অভিজ্ঞতা। শুনতে অবাক লাগলেও এমন সুপারকার বাজারে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হাইপেরিওন মোটরস। বিস্ময়কর এই গাড়িটির নাম হাইপেরিওন এক্সপি-১।
উন্নত বিশ্বে গ্যাসচালিত গাড়ির ব্যবহার এখন কমে আসছে। পরিবেশ সচেতন গাড়িপ্রেমীরা ঝুঁকছে ইলেক্ট্রিক ভেহিকলের (ইভি) দিকে। তবে ইভির থেকেও উন্নত হবে হাইপেরিওন এক্সপি-১। হাইড্রোজেন সেলে চলা এই গাড়ি কার্বন নয়, বরং পানি নিঃসরণ করে।
এক্সপি -১ এর ইন্টারফেস দেখে মনে হবে আপনি একটি মহাকাশযানের পাইলট, ছবি: এফ ডাব্লিউ সি
এক্সপি-১ এর কার্বন-টাইটানিয়ামের চেসিস এবং সৌরচালিত ছাউনি রয়েছে। এর এরোডাইনামিক ডিজাইন, বিলাসবহুল ইন্টেরিওর, আধুনিক প্রযুক্তির ইন্টারফেস আপনাকে অনুভূতি দেবে যাতে মনে হবে আপনি একটি মহাকাশযানের পাইলট।
এক্সপি-১ এক হাজার হর্সপাওয়ারের বেশি শক্তি উৎপাদন করতে পারে। এর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২২০ মাইলেরও বেশি। রিফুয়েলিংয়ের পেছনে মাত্র পাঁচ মিনিটেরও কম সময় ব্যয় করে গাড়িটি অনায়াসে ১০০০ মাইল পথ পাড়ি দিতে পারে।
এক্স-পি ১ সেল্ফ ড্রাইভিং সিস্টেম, ভার্চুয়াল সহকারী, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ সিস্টেমসহ বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তিতে সজ্জিত। সবচেয়ে চমকপ্রদ বৈশিষ্ট্য হলো এর ‘নিউরাল নেটওয়ার্ক’ যা চালকের পছন্দগুলো পর্যবেক্ষণ করে শিখতে পারে এবং সেই অনুযায়ী গাড়ির সেটিংস ঠিক করতে পারে।
যুগান্তকারী এই যান ভবিষ্যতে টেকসই পরিবহনের প্রতিনিধিত্ব করবে, ছবি: এফ ডাব্লিউ সি
হাইপেরিওন মোটরস ২০২২ সাল থেকে এক্সপি-১ তৈরির কাজ করছে। গাড়িটির প্রোটোটাইপ তৈরি হয়ে গেলেও কবে এটি বাজারে আসবে তা এখনও জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি। গাড়িটির দাম প্রায় দুই মিলিয়নের ডলার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুগান্তকারী এই যান ভবিষ্যতে টেকসই পরিবহনের প্রতিনিধিত্ব করবে।
