করিডর নিয়ে কারো সঙ্গে কোনো কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরাকরের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, দ্ব্যর্থহীনভাবে বলে দিতে চাই, করিডর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কারো কোনো কথা হয়নি। কারো সঙ্গে কোনো কথা হবেও না।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। খলিলুর রহমান আরো বলেন, করিডর ব্যবস্থাটি বুঝতে হবে। করিডর হচ্ছে একটা জরুরি সময়ে দুর্যোগপূর্ণ জায়গা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা। আমরা এখানে কাউকে সরাচ্ছি না।
আরাকানের যে অবস্থা তাতে করিডোরের কোনো প্রয়োজন নেই জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো করিডোর সৃষ্টি করে সেখানে কোনো ধরনের লোকজনের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা এখন কোনো প্রয়োজন নেই।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে খলিলুর রহমান বলেন, রাখাইনের ৯০ শতাংশ ভূখণ্ড আরাকান আর্মির দখলে থাকায় জান্তা সরকারের সমান্তরালে তাদের সঙ্গেও আলোচনা করা হচ্ছে। আরাকান আর্মিও প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, আমরা আরাকান আর্মিকে সরাসরি বলে দিয়েছি কোনো রকম এথনিক ক্লিনজিং আমরা মেনে নেব না। আরাকানের অবস্থা যত দিন অস্থিতিশীল থাকবে, ততদিন পর্যন্ত প্রত্যাবাসনের আলোচনা সম্ভব হবে না।
এ সময় খলিলুর রহমান নিজের বিরুদ্ধে ওঠা দ্বৈত নাগকরিত্বের অভিযোগের বিষয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ছাড়া আমার আর অন্য কোনো নাগরিকত্ব নাই। আমি পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে থেকেছি। তবে আমার সেখানকার পাসপোর্ট নেই। বিদেশে থাকলেই যদি নাগরিকত্ব হয়ে যায়, তাহলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়েও সে কথা বলা যায়। তাই এ ধরনের কথা না বলাই ভালো।