পশ্চিমাদের মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগকে টেক্কা দিয়ে গত মাসের শেষের দিকে প্রযুক্তি বিশ্বে ঝড় তোলে চীনের কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ডিপসিক। তুমুল আলোচনার এক সপ্তাহ পরই ডিপসিকের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে খোদ পশ্চিমা বিশ্বে। এবার নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির কারণে চীনের এআই স্টার্টআপ ডিপসিক নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
এক বিবৃবিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি অফিস-আদালতে চীনা প্রতিষ্ঠান ডিপসিকের কোনো পণ্য বা পরিসেবা গ্রহণ করা যাবে না। এমনকি যদি কোনো সংস্থা বা অধিদফরে ডিপসিকের কোনো ডিভাইস বা পরিসেবা গ্রহণ করে বা ইন্সটল করে থাকে তবে তা দ্রুত সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয় ওই বিবৃতিতে।
ডিপসিক প্রত্যাহার প্রসঙ্গে অস্টেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বুরকি বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থেই সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে অপ্রত্যাশিত ঝুঁকি হ্রাস করতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে দেশটির গণমাধ্যম বলছে, সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে ডিপসিকের ডিভাইস ইন্সটল, সংস্থাটির পরিসেবা ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হলেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোনো বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়নি।
ইউরোপের দেশ ইতালির পথ ধরেই চীনা এআই ডিপসিককে নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রেলিয়া। ইউরোপের পাশাপাশি অন্য দেশগুলোও এই অ্যাপের ওপর কড়াকড়ি আরোপের চিন্তা-ভাবনা করছে।
চীনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ডিপসিকের আরওয়ান (R1) নামের একটি মডেল গত মাসে উন্মুক্ত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে। যেখানে পশ্চিমা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো বহু অর্থ বিনিয়োগ করেও সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। সেখানে এতো কম সময়ে ও কম বিনিয়োগে এআই তৈরি করে চীনা প্রতিষ্ঠানটি তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে ডিপসিক ব্যবহার করা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চীনের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ তাইওয়ানও। নিরাপত্তার কারণে দুই বছর আগে চীনা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা করে তাইপে সরকার।
তথ্যসূত্র: কুয়েত টাইমস ও রয়টার্স