সকাল থেকেই জাতীয় প্রেস ক্লাবে ছিল উৎসবমুখোর পরিবেশ। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) ২০২৪-২৬ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ ছিল বিভিন্ন ধরনের ব্যানারে সাজানো।
দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা শুরু হয় সকালে। যেখানে অংশ নেন সদ্য বিদায়ী সভাপতি রাজু আলীমসহ তার পুরো প্যানেল। এরপর দুপুর ২টা থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। কামরুল হাসান দর্পণ, কাজী ফারুক বাবুল ও অঞ্জন রহমানের মধ্যে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন কামরুল হাসান দর্পণ। আর সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আবু সুফিয়ান রতন ও আহমেদ তেপান্তরের মধ্যে নির্বাচিত হন আবু সুফিয়ান রতন।
অন্যদিকে ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হয়েছেন- সহ-সভাপতি – লিটন রহমান ও সালাম মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক – রাহাত সাইফুল, অর্থ সম্পাদক – ইরানী বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক – মোস্তফা মতিহার, আন্তর্জাতিক ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক – আবু হুরায়রা মুরাদ, সমাজকল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক – ইসরাত জাহান স্বর্ণা, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক – আনিসুল হক রাশেদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক – আমিনুর ইসলাম লিটন, দফতর সম্পাদক – রুহুল আমিন ভূঁইয়া, নির্বাহী সদস্য – নিয়াজ মোর্শেদ শুভ, পান্থ আফজাল, মহিব আল হাসান, শফিউল্লাহ সুমন, শাকিল হোসেন, সাজু আহমেদ, সেলিম কামাল, হাফিজ রহমান ও রুহুল সাখাওয়াত।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাচসাসের নতুন সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ বলেন, যতটা প্রত্যাশা করেছিলাম তার চেয়ে বেশি ভোটার সমাগম ঘটেছে। জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে ভোটারদের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ভোটাররা যে গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছেন সেই দায়িত্ব যাতে সঠিকভাবে পালন করতে পারি সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
এবারের বাচসাস নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আলিমুজ্জামান। কমিশনে আরও ছিলেন আমিনুল ইসলাম রাজু, এরফানুল হক নাহিদ, হাফিজুর রহমান সুরুজ ও আবুল হোসেন মজুমদার।
উল্লেখ্য, বাচসাস প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৮ সালে। শুরুতে এর নাম ছিল ‘পাকিস্তান চলচ্চি সাংবাদিক সমিতি’। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নাম পরিবর্তন করে হয় ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি’ ওরফে বাচসাস।