Home বাণিজ্য চাঁদাবাজি বন্ধ হলে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে: বিকেএমই সভাপতি

চাঁদাবাজি বন্ধ হলে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে: বিকেএমই সভাপতি

হ্যালো বাংলাদেশ প্রতিবেদক
৭৫ views

বিকেএমই সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আগের মতো এখনো যাত্রাবাড়ী-কারওয়ানবাজারসহ অন্যান্য বাজারে চাঁদাবাজি হচ্ছে,। পরিবহনের চাঁদা বন্ধ হয়নি। পরিবহন-বাজারে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।

রাজধানীর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) কনফারেন্স হলে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাগো নিউজ আয়োজিত ‘ভোক্তার কাঁধে বাড়তি করের বোঝা: উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ, অর্থনীতিবিদ ড. এম এম আকাশ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, বিআইডিএস-র সাবেক মহাপরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী, রাজস্ববোর্ডের সাবেক সদস্য রেজাউল হাসান, বিজিএমইএ-র পরিচলক মহিউদ্দিন রুবেল, রাজিব চৌধুরী, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ, বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া, ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালা প্রমুখ। আলোচনা পরিচালনা করেন জাগো নিউজ সম্পাদক কে এম জিয়াউল হকের আয়োজন

মোহাম্মদ হাতেম বলেন, গণমাধ্যম থেকে শুনেছিলাম প্রতি রাতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেড় কোটি টাকা চাঁদা পেতেন। এখন তো পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু চাঁদাবাজির কি পরিবর্তন হয়েছে? এখনও যাত্রাবাড়ীসহ অন্যান্য বাজারে চাঁদাবাজি হচ্ছে, কারা করছে, এটা বন্ধ করতে হবে। এটা বন্ধ না হলে মূল্যস্ফীতি কমবে না, কারণ পণ্যের দাম বাড়তি থাকবে।

তিনি বলেন, পরিবহনের চাঁদাবাজিও বন্ধ হয়নি। আমাদের রপ্তানিমুখী শিল্পের পণ্যের গাড়ি শরীফ মেলামাইন কাঁচপুর ব্রিজ নারায়ণগঞ্জের কয়েকটির পয়েন্টে আটকানো হয়। সেখানে হয়রানি করা হচ্ছে রপ্তানিকারকদের। এ পয়েন্টগুলোয় গাড়ি আটকে এলসির কপি, ইউডির কপি চাওয়া হচ্ছে অথচ সেগুলো সব সময় নিয়ে যাওয়া কি সম্ভব। এরপরেই জরিমানা করা হচ্ছে, যে টার কোনো কারণ নেই। এভাবে অন্যায়ভাবে হয়রানি বন্ধ করা হোক। এ কারণে শিপমেন্ট বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, অনেক ব্যবসায়ী সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানালো আমি কথা বলি, সমাধানও হয়। সেটা কয়জনের সমাধান হবে, গতকালও ৩৯টি কোম্পানির গাড়ি আটকানো হয়েছিল হয়তো ৫/৬জনেরটা ছাড়ানো সম্ভব হয়েছে। এই হয়রানি বন্ধ করা হোক।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য জিরো ভ্যাট বলা হলেও নানা অজুহাতে ভ্যাট বসানো হয়। হঠাৎ এক ব্যবসায়ীর ১১ কোটি টাকার ভ্যাট রেডি করছে কোন সই ছাড়াই। পরে সেটার নেগুসিয়েশনের জন্য বলা হয়, পরে হয়তো সেটা ২/৩ কোটিতে দাঁড়ায়। রপ্তানির স্বার্থে, দেশের ভ্যাটের নামে হয়রানি চান না ব্যবসায়ীরা।

আরও যা পড়তে পারেন

কমেন্ট করুণ