বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ সমাবেশের জেরে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) শেষ হওয়া সপ্তাহে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ছিল শেয়ারবাজার। আলোচ্য সময়ে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই মূল্যসূচকের বেড়েছে। ফলে সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে।
এর আগে শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক দরপতন দেখা দিলে গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে সোমবার মতিঝিলে সমাবেশ করেন বিনিয়োগকারীরা। সমাবেশের ডাক দেওয়ার পর থেকেই শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মেলে। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) ব্যানারে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিনিয়োগকারীদের ১১ দাবিতে ডিএসইর পুরোনো ভবনের সামনে সমাবেশ করে। হাজারের বেশি বিনিয়োগকারী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
এরপর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৬৫টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৩টির। আর ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এমন দরপতনের বাজারে গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৯ হাজার ১০৫ কোটি টাকা।
বাজার মূলধনের পাশাপাশি গত সপ্তাহে সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে বেড়েছে ৬৬ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছে ৯ দশমিক ০৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৮ শতাংশ।
প্রধান ও ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত সূচক কমার পাশাপাশি বেড়েছে ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে এই সূচক বেড়েছে ১৩ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২২ শতাংশ।
সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও কমেছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৩৩৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা বা ২৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ।