হজযাত্রীরা যাতে কম খরচে হজ পালন করতে পারেন সেই উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে জাহাজে করে প্রায় ৩ হাজার হজযাত্রী সৌদি আরবে পাঠানো হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাওলানা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন মঙ্গলবার এক মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতাপূর্ব ও স্বাধীনতা উত্তর জাহাজে করে হজ করতে যেতেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আমরা পরীক্ষামূলকভাবে জাহাজে করে হজে পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করেছি। সৌদি সরকারের এই বিষয়ে সম্মতি আছে। এরই মধ্যে আমরা জাহাজ কোম্পানির মালিকদের সঙ্গেও আলাপ করেছি। এ বছর জাহাজে অন্তত তিন হাজার যাত্রী পাঠাবো। আমরা একটা ডোর ওপেন করে দিতে চাই। এই দেশের সাধারণ মানুষ যাতে কম খরচে হজ করতে পারেন।
তিনি বলেন, হজযাত্রীদের সার্বিক সহযোগিতার বিষয়ে সৌদি সরকার আন্তরিক রয়েছে। আমরা আপাতত দুটি প্যাকেজ চালু করব। স্বল্প খরচে আবাসন, কাবা শরিফ ও মদিনা শরিফ থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে এবং আরেকটা একটু দূরে। হাজিরা হেঁটেও যেন আসতে পারেন। তাছাড়া বাংলাদেশ বিমানে খরচ বেশি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি; যাতে খরচ কমানো যায়। আমরা আশাবাদী, হজ প্যাকেজগুলো সাশ্রয়ী মূল্যে করতে পারব।
এ সময় কওমি শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, কওমি মাদ্রাসার সনদকে কীভাবে কার্যকর করা যায়, কোন কোন ক্ষেত্রে কওমি মাদ্রাসা থেকে প্রাপ্ত সনদ কাজে লাগানো যায়, সে বিষয়ে বর্তমান সরকার কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, কওমি মাদ্রাসা থেকে প্রাপ্ত সনদ বিগত সরকার এমএ (মাস্টার্স) মান দিয়েছে। এবার আমরা যেটা করব- মাদ্রাসার হুজুরদের নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই প্রাপ্ত সনদ কোন কোন ফিল্ডে কাজে লাগানো যায়। যেমন—স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনীসহ বিভিন্ন জায়গায় আমরা যদি তাদের ঢোকাতে পারি, তাহলে কওমি মাদ্রাসার সনদপ্রাপ্ত আলেমরা তাদের খেদমত করতে পারবেন।
