রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা বাতিলসহ তিন দফা দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার। বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পোষ্যকোটা বাতিলসহ সব দাবি মানা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক ভবনে ভালা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক সিলেকশন শুরু হচ্ছে আগামী ৫ জানুয়ারি। আমরা ফাইনাল একটি সিদ্ধান্তে আসার জন্য ২ জানুয়ারি পর্যন্ত সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। তার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। আমরা তাদের ১১% কোটা রাখার সিদ্ধান্তকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি এবং আমরা আমাদের আল্টিমেটামের ওপরই অনড় আছি।
এর আগে বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত ভর্তি কমিটির জরুরি সভায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সন্তানদের এক শতাংশ কোটা বরাদ্দ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কমিটির সভাপতি উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীব সভায় সভাপতিত্ব করেন। এমন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার। এ সময় পোষ্য কোটা বাতিলের কথাও উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, এখনও কয়েক ঘণ্টা সময় আছে প্রশাসনের কাছে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার। ২ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের আগে প্রশাসন পোষ্য কোটা বাতিলসহ তিনটি দাবি আদায়ে সহযোগিতা না করলে ৯টা ৫১ মিনিট থেকে ১০টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ করার জন্য। তারপর প্রশাসনিক ভবনে অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ থাকবে আপনারা সব ক্লাস বন্ধ করে বৃহস্পতিবার সংস্কার কাজে অংশগ্রহণ করবেন।
সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, আমরা জুলাই বিপ্লবে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলাম। বিপ্লবের মেইন ম্যান্ডেট ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার। কিন্তু কোটার যৌক্তিক সংস্কার তো হয়নি, বরং একটি অযৌক্তিক, অবৈধ কোটা এখনও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রেখে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন সাময়িকভাবে বন্ধ করার জন্য প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ আমাদের দাবি ছিল আজীবনের জন্য এই কোটা বাতিল করা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা করেনি।